কাশ্মীর ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের নীরবতার রহস্য কি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ১৬ ২০১৯, ১৯:১২

কাশ্মীরের মজলুম স্বাধীনতাকামী মুসলমানদের ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের বিশেষত আরব বিশ্বের নিরবতার রহস্য কি? আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর প্রশ্ন

দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক শাইখুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে পেরিত এক বিবৃতিতে বলেছেন

রাসুলে পাক(সা.)এরশাদ করেছেন,সমগ্রঃ বিশ্ব মুসলিম এক দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মতো চোখে ব্যথা হলে পুরো শরীরে ব্যথা অনুভব হয়।মাথায় আঘাত হলে পুরো শরীর জর্জরিত হয়।

সুতরাং এই সহি হাদিসের বৃত্তিতে কাশ্মীরের মজলুম স্বাধীনতাকামি মুসলমানদের জালিম মোদি সরকারের অমানুবিক জুলুম,নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্বের সমস্ত মুসলমান বিশেষত আরব বিশ্বকে শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও এই জালিম মোদি সরকারের সাথে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

জালিম মোদি সরকার কাশ্মীরের হাজার হাজার মুসলমানদের হত্যা করতেছে এবং তাদের জান – মাল ইজ্জত -আব্রু লুন্ঠন করতেছে।

কাশ্মীরের একেক বালি কনা ফরিয়াদ করতেছে আরব বিশ্বের কাছে,যেনো আরব বিশ্বের নেতৃত্বে সমস্ত মুসলিম কান্ট্রি এই অমানবিক আচরণ এবং নিষ্পেষণও নির্যাতন থেকে তাদের রক্ষা করে এবং কাশ্মীরের মাটিতে স্বাধীনতার পতাকা উত্তলন করে।

কোন অবস্থায় কাশ্মীরের মুসলমানদের জঙ্গগী বা সন্ত্রাসী বলা যবেনা।বারন তারা স্বাধীনতা কামি,কোনো মজলুম জাতি যদি স্বাধীনতা কামনা করে এবং স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে সেটা জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদ হয়না।যেমন উদাহরণ স্বরূপ ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি সুদান স্বাধীনতা লাভ করে।

এবং ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পূর্ব তিমুরের জনগণ একটি গণভোটের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

এবং ১৯৭১ সনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহকর্মীরা যুদ্ধ করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।

যদি স্বাধীনতাকামী যুদ্ধারা জঙ্গী হয়,তাহলে আমাদের বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধারাও জঙ্গী হয়ে যাবে।অথচ তারা আমাদের প্রাণ প্রিয় পুরুষ,তারা কোন অবস্থায় জঙ্গী বা সন্ত্রাসী হতে পারে না।