কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি চায় হেফাজত

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ০১ ২০২১, ২১:২০

সরকারের কাছে সকল কারাবন্দি উলামায়ে কেরামদের মুক্তি চায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত তিন মহাসচিবের জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভায় সরকারের কাছে এ অনুরোধ জানানা বক্তারা।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।

অসুস্থতার কারণে সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন নি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজত ইসলামের দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম সুবহান। লিখিত বক্তব্যে আমির বলেন, আজকের এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল থেকে সরকারের কাছে সকল বন্দি উলামায়ে কেরামকে মুক্তি দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। যারা জেলের ভীতরে আছেন আল্লাহ তাদের ধৈর্য ধারণের তৌফীক দান করুক এবং যারা বাহিরে আছেন, আল্লাহ তাদের হেফাজত করুন।

সভায় উপস্থিত থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার আমাদের অনুরোধে অনেক আলেম-উলামাকে মুক্তি দিয়েছে। এজন্য আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা অনুরোধ করবো, যারা এখনও জেলের মধ্যে আছেন, তাদের মুক্তি দেওয়া হোক। আমরা আশা করবো, সরকার আমাদের অনুরোধ রক্ষা করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। আমাদের রাজনৈতিক উচ্চাবিলাসও নেই। আমরা কেবল দ্বীনি সংগঠন হিসেবে কাজ করে যেতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, দেশের মধ্যে অরাজকতা তৈরির চেষ্টাকারী কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হোক। তারা দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরির পায়তারা করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা দেশের মধ্যে অরাজকতা তৈরি করতে পারে।’

হেফাজতের প্রয়াত তিন মহাসচিবের জীবন নিয়ে আলোচনার সময় আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আল্লামা শাহ আহমদ শফী ছিলেন এই দেশের আলেম-উলামাদের ওপর বট গাছের ছায়ার মতো। এক বছরের বেশি সময় হয়েছে তিনি চলে গেছেন। আমরা প্রতি মুহূর্তে তার শূন্যতা অনুভব করি।’

‘আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বয়সে আমার ছোট হলেও আমার আগেই আল্লাহ তাঁকে নিয়ে গেছেন। শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও তিনি ছিলেন নীতির বিষয়ে অনড়। তার মধ্যে আমরা আল্লামা ইউসুফ বানুরীর ছায়া দেখতে পেতাম। তিনি এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন, তা আমরা ভাবতেও পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুফতি আবদুস সালাম চাটগামী ছিলেন আপদমস্তক একজন এলমি মানুষ। দুনিয়ার মোহমায়া থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন আজীবন। প্রচারবিমুখ মানুষ হওয়ায় খুব কম মানুষই তার বিষয়ে জানতে পারতো। এমন একজন আলেমের চলে যাওয়া উম্মাহর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’