কাজের নিশ্চয়তা না পেলে সৌদি না যাওয়ার পরামর্শ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ১৩ ২০১৯, ১৪:২৮

কাজের নিশ্চয়তা না পেলে শ্রমিকদের সৌদি আরবে না যাওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক বছরে সৌদি আরবে অনেকগুলো কর্মক্ষেত্র বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের অর্থনীতিও ভালো অবস্থায় নেই। যেসব শ্রমিকের আকামা নেই তাদেরকে ফেরত পাঠাচ্ছে সৌদি আরব সরকার।’

অনেক ট্রাভেলস এজেন্সি অবৈধভাবে বিদেশে লোক পাচার করছে জানিয়ে মোমেন বলেন, অনেক এজেন্সি মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে আদমপাচার করছে। আর এসব এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ গিয়ে কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েন শ্রমিকরা।

অবৈধ মানবপাচারে জড়িত এজেন্সীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রনালয়কে আহবান জানান মন্ত্রী।

ভারত সীমান্তে মানুষ হত্যা কমে আসছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত হত্যা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক কম। ২০০২ সালে যেখানে বছরে ১৬৪ জন হত্যার শিকার হয়েছিল, এখন তা হাতেগুনা কয়েকজন। সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের সাথে বাংলাদেশের কুটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশের অবৈধভাবে ভারতে সীমান্তে অনুপ্রবেশের তথ্য রয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, অনেক বাংলাদেশী চোরাচালান করতে ভারতে চলে যান, তখন সেখানে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ বন্ধ করা গেলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়ে যাবে।

ফেনী নদীর পানি দিয়ে বাংলাদেশ মহানুভবতা দেখিয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ভারতের একটি শহরের ৬ হাজার লোকের পানের জন্য বাংলাদেশ মাত্র ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি দিয়েছে। এখন পানি নেওয়ার বিষয়টি একটি ফ্রেমের মধ্যে এসেছে। আগে ভারত টিউবওয়েল ও পাম্প বসিয়ে এর চেয়ে বেশি পানি নিয়ে যেত। এখন একটি সীমাবদ্ধতা হয়েছে। নির্ধারিত পরিমাণের বেশি পানি যাতে নদী থেকে না উঠে সেজন্য ভারত সরকার দেখভাল করবে।

মন্ত্রী বলেন, ফেনী নদীর পানি দিয়ে ভারত সরকারকে দায়বদ্ধতার মধ্যে ফেলা গেছে। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, তোমরা তিস্তা নদীর পানি না দিলেও আমরা তোমাদের মতো আচরণ করিনি। ভারতের অনেকেই বাংলাদেশের এই মহানুভবতার প্রশংসা করছে। তারা বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে ভারত সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন।

এসময় সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার উপস্থিত ছিলেন।