কবিতা ”পতিতা“

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ১৫ ২০১৯, ২২:২৯

পতিতা
লেখিকা- ফারজানা ইসলাম নিশি

ইচ্ছা করে কোনো নারী
পতিতা হতে চায়না।
সমাজ তাকে বাধ্য করে,
পতিতার কাতারে নাম দিতে। কখনো বা সমাজ,

কখনো বা পরিবার,কখনো বা দারিদ্র্যতা, কখনো নির্মম নির্যাতনের স্বীকার।

কখনো আবার বিনা দোষে অপবাদের স্বীকার।

বিষাক্ত অপরাধীর ছোবলে পরে, বাধ্য হয়ে নাম দিয়েছে তারা পতিতার ঐ কাতারে।

হে পতিতা নারী-
আমি দেখেছি তোমাদের নিরব চোখের অশ্রু,

কান্নার রেস নিয়ে, চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়াও বাধ্য হয়েছো নিজের শরীলকে বিলিয়ে দিতে।

ভুঁগেছো তুমি অসুস্হতায়,কেঁদছো তুমি কত নির্মমতায় বহুদিন মৃত্যুকে পালন করতে করতে হঠাৎ একদিন হয়ে গেছো মরা লাশ।

পাশে নেই কোনো স্বজন
হয়তো লাশটা কোথাও ভাঁসিয়ে দিয়েছে কোনো এক মাহাজন।

হে পতিতা –
সমাজ বলে তুমি নাকি বেশ্যা তোমাদের নাকি বিয়ে করার অধিকার নেই? কিনতু কেনো?
এই মায়াজালের সংসারে আজ কেনো স্হান নেই তোমাদের? ভোগ কে করেছে তোমাদের
এই পুরুষ সমাজ এই তো।

তাহলে এলো লজ্জা পায় কেনো এ পুরুষ সমাজ?

আমি বলি পতিতাকে গ্রহন করুন তাদের কে ও বাঁচতে দিন।

তাদের প্রতি একমুঁঠো ভালোবাসার গ্রাণ ছড়িয়ে দিন তারাও সিক্ত তারাও তো মানব।

তারা কি নিজের ইচ্ছায় পতিতার কাতারে দাঁড়িয়েছিলো?

প্রশ্ন করা হয়ে যাক একবার নিজেদের বিবেককে। ইচ্ছা করে কেউ পা বাঁড়ায় না কিনতু পতিতার ঐ কাতারে।

সমাজের নির্মমতায় বাধ্য হয়েই পা বাড়িয়েছে তারা
খারাপের রাস্তায় পা দিয়ে আজ, হয়ে গেছে হয়তো পতিতা।
হে পতিতা বোনেরা?

জানো তোমাদের হাহারের আওয়াজ কেউ,শুনতে পায় না।

সমাজ যে বড় নিষ্ঠুর বোন।
আজ রাস্তাঘাটের অলিগলিতে কত, খোলামেলা যৌণতার খেলা চলছে,

কিনতু সমাজের উপর যে তোমাদের এই চোখ পড়েছে।

আমি শুনেছি,
পতিতা বোনদের লাশ গুলো নাকি,

নদীতে ভাঁসিয়ে দেওয়া হয় কিনবা কোনো নর্দমায় পুঁতে ফেলা হয়।

ওদের নাকি আর দশ জনের মতো শায়িত করা হয় না? কিনতু কেনো?
পতিতা কি মানুষ নয়?

সবার উপরে যদি মানুষ শ্রেষ্ঠ হয় তাহলে পতিতার স্হান কেনো এ সমাজে নয়?

তোমরা হেলা করোনা পতিতাকে তাদের মাঝে আছে ও কিনতু ভালোবাসার রোজ নামতা।

চাইলেই কিনতু পারো হে সমাজ পতিতাকে সমাজে স্হান দিতে।

বাঁচতে দাও সমাজ পতিতাকে গ্রহন করো তুমি সমাজ পতিতা নারীকে।

ভালোবাসতে শিখো তোমরা পতিতাকে দূর করো সমাজ তুমি কলঙ্কিনী পতিতা পেশাকে।

আর পাপীকে নয় ঘৃণা করো পাপকে।

উৎসর্গঃসমাজকে