ওসমানীনগর আমি নির্বাচনে ভোটে হারিনি হেরেছি ইভিএমের কাছে: সংবাদ সম্মেলনে কামরুল ইসলাম 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

নভেম্বর ০৪ ২০২২, ১৬:২৫

আহমদ মালিক,ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি: সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে পরাজিত কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন ইভিএম মেশিনে জালিয়াতির কারণে তার পরাজয় ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন,আমি নির্বাচনে ভোটের কাছে হারিনি,আমি হেরে গেছি ইভিএম মেশিনের জালিয়াতির কাছে, সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রগুলো ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দখল নিয়ে নেয়, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়।তাদের সাথে সহযোগিতা করেন কিছু পোলিং অফিসাররা, অভিযোগে তিনি বলেন ওসমানীনগর উপজেলার সুন্দিকলা ভোটকেন্দ্রে সঞ্জয় কুমার নামে এক পোলিং কর্মকর্তা নিজে বুথে প্রবেশ করে ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেন,এ ব্যাপারে তিনি কেন্দ্রে থাকা আইন-শৃঙ্খলা ও রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি নগন্য থাকলেও ৪৮ হাজারের বেশি ভোট কাস্টিং অস্বাভাবিক।তিনি বলেন কেউ যেন আর ইভিএম মেশিনে নির্বাচনে না আসে, যে আসবে তারই সরকারের চক্রান্তে পরাজয় ঘটবে, তিনি নির্বাচন করে এই বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন।

ভোটের আগের দিন তার এজেন্টদের হুমকী প্রদানের অভিযোগ করে বলেন, ভোটের দিন অনেক কেন্দ্রে ভয়ে কোন এজেন্ট ছিল না।

তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুন্দিকলা ভোট কেন্দ্রের কর্তব্যরত পোলিং অফিসার সঞ্জয় কুমার বলেন, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী কেন্দ্রে এসেছিলেন, তিনি কেন্দ্র পরিদর্শনও করেছেন, কিন্তু এই ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি, তিনি আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেছেন, আমি সম্পূর্ণ সঠিকভাবে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি, তিনি কেন এই মিথ্যে কথা বলছেন সেটা তিনিই বলতে পারবেন।

এব্যাপারে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ইভিএম এমন একটি মেশিন যা দিয়ে জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই। পরাজিত প্রার্থীর এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।