ওসমানীনগরের চাচাকে বিয়ে করতে ভাতিজাকে অপহরণ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৫ ২০২১, ১৯:১১

আহমদ মালিক,ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ
সিলেটের ওসমানীনগর থানার পশ্চিম রুকনপুর গ্রামের রুহেনা আক্তার রিয়ার (২১) বিয়ের কথাবার্তা চলছিল মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ওমান প্রবাসী জুবেল আহমদের সাথে (২৬)।

অভিভাবকদের আলাপ-আলোচনায় সমঝোতা না হওয়ায় থেমে যায় বিয়ের কথা। তবে ওই যুবককে বিয়ে করতে পাত্রী নিজেই পরিচিত কয়েকজনের সহযোগিতায় প্রবাসীর ভাতিজাকে কৌশলে অপহরণ করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের কেশরপাড়া গ্রামে। অপহরণের ২৪ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় রাজনগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মূল আসামি হিসেবে ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার বিকালে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জিয়াউর রহমান।

রাজনগর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জুবেলের ভাই প্রবাসী জায়েদের বন্ধু পরিচয়ে উপজেলার কেশরপাড়া গ্রামে জুবেলের আরেক ভাই জাবেদ আহমদের বাড়িতে যান দুই যুবক। এ সময় চা-নাস্তা খাওয়ার পর জাবেদ আহমদের ২২ মাস বয়সী শিশু সাইফকে কোলে নিয়ে মোবাইল রিচার্জ করার কথা বলে বের হন তারা। পরে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ৪-৫ ঘণ্টা পর শিশুটির দাদির মোবাইল ফোনে কল করে জানানো হয়, তাকে ফিরে পেতে হলে জুবেল আহমদের সঙ্গে যে মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছে তার সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। বিষয়টি জাবেদ আহমদ সঙ্গে সঙ্গে রাজনগর থানায় অভিযোগ করলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত শুক্রবার বিকালে সিলেটের ওসমানীনগর থানার তাজপুর বাজারের কদমতলী এলাকা থেকে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় ওসমানীনগর থানার পশ্চিম রুকনপুর এলাকার মৃত কনাই মিয়ার মেয়ে রুহেনা আক্তার রিয়াকে (২১) গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজনগর থানায় মামলা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।’

ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- রাজনগর থানার ওসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মো. ফরিদ উদ্দিন ও এসআই মো. নূর উদ্দিন।