‘এপ্রিল ফুল’ পুরাই কি ভিত্তিহীন?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ০৩ ২০১৮, ০০:৪৭

১৪৯২ ‘র এপ্রিলের এক তারিখের নির্দিষ্টকরনটা? নাকি ধোঁকা দিয়ে গ্রানাডা ও স্পেনের অন্যান্য জায়গায় মুসলিম গণহত্যার বিষয়টা?

হতে পারে, না -ও হতে পারে যে, এপ্রিলের এক তারিখে মুসলিম গণহত্যা ঘটেছে। হোক বা না হোক, ওই তারিখটাকে শুধু ১৪৯২ ‘র সাথে নির্দিষ্ট করে মিলাতে চাইছি কেন?

এটা তো সত্য, ১৪৯২ -এ, তার আগের কয়েক বছর এবং পরের ১৫/২০ বছর স্পেনে নানান কায়দায় কচুকাটার মতো মুসলিমহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১৪৯২ ‘র পর প্রায় একশ বছর পর্যন্ত প্রকাশ্য হত্যা, পানিতে ডুবিয়ে মারা, দেশত্যাগে বাধ্য করা আর ধর্মান্তরকরনের এক সমুদ্র কেয়ামত মুসলমানদের ওপর বয়ে গেছে। এবং এর সবই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের মধ্য দিয়ে ঘটেছে। বইপত্র দেখুন। ইতিহাস এরকমই।

সুতরাং এপ্রিল ফুলের ভিত্তি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠার অর্থ শুধু এটাই হতে পারে যে, ১৪৯২ ‘র এপ্রিলের এক তারিখে ধোঁকা দিয়ে গণ মুসলিম হত্যার নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ১৪৯২ -র এপ্রিলের এক তারিখের নির্দিষ্টতার বিষয়টা বাদ দিলে, বলতে হবে যে বাকি সবকিছুই ঘটেছে। গণহত্যা, ধোঁকা আর খ্রিস্টীয় উল্লাসের সব উপাদান ছিল। প্রচুর পরিমাণে ছিল। বারবার ছিল।

কথাটা এখানে আবার উল্লেখ করার প্রধান একটা উদ্দেশ্য হলো, এপ্রিল ফুলের কোনো ভিত্তি নাই –এই কথাটিতে যেন ১৪৯২ ‘র আগে ও পরের কয়েক দশকের গণ মুসলিম হত্যার ( লাখ লাখ) বিষয়ে কোনো সংশয় এবং ভুল উপলব্ধি তৈরি না হয়। আরেকটি ব্যাপার হলো, ১৪৯২’ র পরপরের বিভিন্ন গণহত্যাগুলোর দিন তারিখ সংরক্ষিত নেই। আর সেগুলো সব গ্রানাডাতেই সংঘটিত হয়নি। সুতরাং এপ্রিল ফুলের কোনো ভিত্তি আছেই এটা বলা যেমন কঠিন, কোনো ভিত্তিই নাই, এটা বলাও কি খুব সহজ? বিষয়টা এভাবেও ভেবে দেখা যেতে পারে।

এপ্রিল ফুলের ইতিহাসের ভিত্তি নিয়ে যারা কাজ করছেন, ভাবছেন, মত দিচ্ছেন –বিনয়ের সঙ্গে তাদের সামনে এই নিবেদনটুকু পেশ করলাম।
-মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ
লেখক,মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব