এড.তৈমুর আলম খন্দকারের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হামলা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ২০ ২০২০, ০০:৪৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:   সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী খন্দকার বাড়িতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তৎকালীন উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের জন্মদিন এবং খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বক্তব্য দেওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এড.তৈমুর আলম খন্দকার, খন্দকার খোরশেদ আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, হামলায় তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার মারিয়াম খন্দকারসহ অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। অনুষ্ঠান চলার সময় হেলমেট পরে রামদা, লাঠিসোঁটাসহ ৪০-৫০ লোক অনুষ্ঠানে হামলা করে চারটি গাড়ি, মোটরসাইকেল, অনুষ্ঠানের মঞ্চ, সাউন্ড সিস্টেম ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। হামলায় উপজেলা মহিলা দলের নেত্রী ফাতেমা, বিএনপির নেতা পিন্টু আহমেদ, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম আহত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নির্দেশেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন।

হামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না উল্লেখ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলকে মারধর করার মতো রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা করি না। তাদের নিজেদের মধ্যে ব্যাপক কোন্দল আছে। নিজেরা নিজেরা ভাঙচুর করে সেটার দায় আমাদের ওপর চাপাতে চাচ্ছে। তাদের কাছে নিশ্চয় ভিডিও বা ছবি আছে। আমাদের লোকজন সেখানে হামলা করেছে, এমন প্রমাণ দিতে পারলে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

হামলার সময় উপস্থিত তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার জানান, গোলাম দস্তগীর গাজীর বাড়ির খাবারের দায়িত্বে থাকা ফিরোজ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার, সহসভাপতি রিয়াদ, থানা যুবলীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পাভেলসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা হামলায় অংশ নিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন।

অপরদিকে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল শিকদার বলেন, আমরা সেখানে খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলাম যে, কিসের অনুষ্ঠান চলছে? সেখানে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের কর্মীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে শ্লোগান দিয়ে আসতে থাকে। পরক্ষনেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন হামলার অভিযোগ আসেনি।অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।