এক নজরে মেখল হামিয়ুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

সেপ্টেম্বর ১৯ ২০১৯, ২০:৪৯

নাম : আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া হামিয়ুচ্ছুন্নাহ মেখল, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম

প্রসিদ্ধ নাম : হুজুরের বাড়ী মাদ্রাসা

মোট আয়তন : ৭ একর

স্থাপিত : ১৯৩১ ইং

প্রতিষ্ঠাতা : মোজাদ্দেদে মিল্লাত, মুসলিহে উম্মত, মুফতিয়ে আজম ফয়জুল্লাহ রহ.

অবস্থান: বন্দরনগরী চট্টগ্রাম হতে ২২ কি.মি. উত্তরে হাটহাজারী থানার পৌরসভা সংলগ্ন মেখল ইউনিয়নে পুর্ব মেখল গ্রামে হুজুরের বাড়ী সংলগ্ন অবস্থিত। ১৯৩১ ইং হতে ১৯৭৮ পর্যন্ত হুজুরের বাড়ীর মসজিদ ও সংলগ্ন পুকুর পারে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও পরবর্তীতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১৯৭৮ ইং বর্তমান যায়গায় মাদ্রাসা স্থান্তরিত করা হয়।

বর্তমান পরিচালক : শাইখুল মাকুলাত ওয়াল মানকুলাত, তারজুমানে আহলুচ্ছুন্নাহ,/ আল্লামা নোমান ফয়জী দা.বা.

শিক্ষা পরিচালক: আল্লামা উসমান ফয়জী দা.বা.

নাজেমে দারুল ইকামা: মাওলানা ফোরকান ফয়জী দা.বা.

শিক্ষাস্তর :
নুরানী বিভাগ: প্লে থেকে ৩য় শ্রেণী

কিতাব বিভাগ:
* প্রাথমিক
* মাধ্যমিক
* উচ্চ মাধ্যমিক-জামাতে হেদায়া আওয়ালাইন পর্যন্ত। এরপর ছাত্ররা টিসি নিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসাসহ অন্য বড় যে কোনো মাদ্রাসায় যায় স্নাতক (ফজিলত/মেশকাত) ও স্নাতকোত্তর (দাওরায়ে হাদীস/তাকমীল) পড়ার জন্য ‌।

এছাড়াও রয়েছে ক্বেরাত বিভাগহস্তলিপি বিভাগ

জামিয়ার পরিচালকগণের নাম ও জিম্মাদারীর সময়কাল:
– মুফতিয়ে আজম ফয়জুল্লাহ রহ.
পরিচালনাকাল: ১৯৩১ থেকে ১৯৭৬৷
– বাকিয়াতুছ ছলফ, হযরত আলহাজ শাহ মোজাফফর আহমদ রহ. (প্রকাশ মেঝ হুজুর) ৷ পরিচালক ও মোতাওয়াল্লী।
পরিচালনাকাল: ১৯৭৬-২০০৫৷
– তারজুমানে আহলুচ্ছুন্নাহ, আল্লামা নোমান ফয়জী দা.বা.।
পরিচালনাকাল : ২০০৫ থেকে বর্তমান।

জামিয়ার শীর্ষস্থানীয় উস্তাদ যারা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন-
/ হযরত আল্লামা আজিজুল্লাহ রহ.। নোয়াখালী (যিনি বড় হুজুর নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন)। শিক্ষকতার সময়: ১৯৩১ থেকে ১৯৮২ সাল।

/ হযরত আল্লামা মোজাফফর আহমদ রহ. (মেঝ হুজুর)।
/ হযরত আল্লামা মুফতি সাইফুল ইসলাম হাতিয়ুবী রহ.
/ হযরত আল্লামা ইউসুফ রহ. গড়দুয়ারী
/ হযরত আল্লামা হাফেয আজিজ আহমদ রহ. মেখলী (প্রকাশ হাফেজ সাহেব হুজুর)
/ হযরত মাওলানা আব্দুর রহিম রহ. (প্রকাশ গহিরা হুজুর)

জামিয়ার ফতোয়া বিভাগীয় প্রধানগণের নাম :
– হযরত আল্লামা মুফতিয়ে আজম ফয়জুল্লাহ্ রহ.। জন্ম : ১৮৯২, মৃত্যু : ১৯৭৬। (ইফতা বিভাগীয় প্রধান ও মুফতিয়ে আজম বাংলাদেশ) ৷

– আল্লামা মুফতি সাইফুল ইসলাম সন্দীপী রহ. ৷

– আল্লামা মুফতি ইব্রাহিম খান দা: বা:৷ (বর্তমান ফতোয়া বিভাগীয় প্রধান)।
– হযরত আল্লামা মুফতি মোহাম্মদ আলী কাসেমী দা.বা. (বর্তমান ফতোয়া বিভাগের সহকারী প্রধান)

শিক্ষক ও কর্মচারী সংখ্যা : ২১ জন

কিতাব বিভাগে ছাত্র সংখ্যা: ৩০০০ জন

নুরানি বিভাগে ছাত্র সংখ্যা : ৪৬০ জন

বাৎসরিক সাধারণ ব্যয়: ৯০,০০০০০
(নব্বই লক্ষ টাকা মাত্র)

আয়ের উৎস : ছাত্রদের ভর্তি ফি, বার্ষিক পরীক্ষার ফি, মাদ্রাসার মাছ ও ফল বিক্রি এবং মাদ্রাসায় এসে জনগণের স্বেচ্ছায় দেওয়া চাঁদা ও সদকা।

উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য: এই জামিয়া চাঁদা সংগ্রহ করার জন্য কোথাও যায় না। ধান চাউল, চামড়াসহ কোন ধরনের কালেকশন করে না। তবে যারা চাঁদা-ছদকা-যাকাত দিতে চান তারা মাদ্রাসায় এসে নিজ উদ্যোগে দিয়ে যান। যাকাত এবং ছদকার টাকাগুলো প্রতি মাসে প্রায় ২৫০ জন গরীব ছাত্রকে তাদের খোরাকি বাবত নগদ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। তারা তা দিয়ে নিজে রান্না করে খায়। জামিয়ার প্রতিষ্ঠাতার কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে এখানে এক ফান্ডের টাকা অন্য ফান্ডে ব্যয় করা হয় না।

 

সংকলনে : মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, শিক্ষক, জামিয়া হামিয়ুচ্ছুন্নাহ মেখল।

সম্পাদনায়: ইলিয়াস সারোয়ার; নির্বাহী সম্পাদক একুশে জার্নাল; সাবেক ছাত্র, মেখল হামিউস সুন্নাহ মাদ্রাসা।