একটু পেছনে তাকান

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ৩১ ২০১৯, ০০:৫৮

সাইমুম সাদী

স্যাম হয়্যার ইন ব্লগে সেই সময় জামায়াতের ব্যাপারে গালাগালি করা তো হতই, পাশাপাশি দাড়ি টুপি নিয়েও ব্যাঙ্গ করা হত। সেই সময়টা ছিল ব্লগ জামানা।

তারপর হুমায়ুন আহমেদ পাখির মুখ দিয়ে বলালেন, তুই রাজাকার। রাস্তাঘাটে শব্দটা আজকের তাহেরীর বক্তব্যের মত লোকজন ব্যাংগ করে বলাবলি করত।

এভাবে নাটকে সিনেমায় দাড়ি টুপি ওয়ালা মানুষকে দিয়ে নারী নির্যাতনের কাহিনী দেখাতে দেখাতে মানুষ বিশ্বাস করা শুরু করলো, আসলেই হুজুর রূপি মানুষগুলো খারাপ। এবং এভাবেই শাহবাগ তৈরির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করা হয়।

শাহবাগে তো রীতিমতো তালিকা তৈরি করে ইসলামী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কুকুরের মাথায় টুপি পরিয়ে দেয়া ছবি ছাপা হলেও কেউ কথা বলতে কিংবা প্রতিবাদ করতে পারছিলেন না।

কিন্তু চট্টগ্রামের অজপাড়াগাঁ থেকে একজন আহমদ শফীকে আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন এই স্রোতের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার সাহস ও যোগ্যতা দিয়ে। একটি বুড়ো মানুষ চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে গেলেন। থেমে গেল শাহবাগ।

জামায়াত স্টপ হওয়ার পর এখন চ্যালেঞ্জ কওমি মাদ্রাসা। আপাতত চূড়ান্ত যুদ্ধের আগের গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করা হচ্ছে। হিসেব করে দেখুন মিলে যাবে।

প্রথমে কওমি মাদ্রাসার কিছু ছাত্র ও শিক্ষককে দিয়ে বলানো হবে এখানে শিশুদের কে বলাৎকার করা হয়, যৌন নির্যাতন করা হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে বিদেশী বা দেশী মিডিয়ার নিকট কওমির একটা অংশকে দিয়ে বলানো হবে, মারাত্মক ভাবে অপকর্ম চলছে এসব ইসলামী প্রতিষ্ঠানে।

এই দুই কাজ কমপ্লিট হয়ে গেছে।

আগামীতে কিছু বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে দাবি তোলা হবে যেহেতু এসব মাদ্রাসায় আকাম কুকাম হয় এগুলো সরকারী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুন।

মিডিয়ায় এনিয়ে তুমুল হৈচৈ হবে। সহী হাদিসের আলোকে বন্ধ করার দাবি এলেও অবাক হব না।

এবং এভাবে এক সময়… সত্যি সত্যিই বন্ধ করে দেয়ার পথে কাজ এগিয়ে যাবে।

কথাটা অনেকেরই বিশ্বাস হবে না। জামায়াতের নেতাদের ফাসি হবে কেউ কল্পনাও করেনি। আর না হোক শিবিরের বিশাল লড়াকু কর্মী বাহিনী তো ছিলই। কিন্তু কি হয়েছে?

এখন পাবলিক সাপোর্ট থাকার কারণে কওমি মাদ্রাসায় হাত দেওয়ার সাহস কেউ করছে না। কিন্তু যদি এসব প্রচারণায় পাবলিক সাপোর্ট বিরুদ্ধে চলে যায় তাহলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনেক কিছু হয়ে যাবে৷

মাদ্রাসায় যদি এমন কিছু থেকেই থাকে তাহলে মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষ একশানে যাচ্ছে না কেনো?

শিশুদের দিয়ে হাত পা টেপাটেপি করানোর কাহিনী তো প্রায়ই শোনা যায়। এর প্রতিকারে কি করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড?

তেল উত্তোলন ও তেল মাখামাখি বাদ দিয়ে বোর্ডকে আরও ডায়নামিক হতে হবে। কওমি মাদ্রাসা রক্ষার জন্য কিছু করতে হবে। এটাই তো আপনাদের মূল কাজ।

শিশুদের দিয়ে খেদমত নেওয়ার বিরুদ্ধে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পদক্ষেপ কি জানতে চাই। শুধু শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখতে পারবেন না আগামী দিনে।