একজন মুনতাসির আলী; মজলুম ছাত্রনেতা থেকে নন্দিত জননেতা!

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ১০ ২০১৮, ১৮:০০

একুশে জার্নাল লন্ডন:১৯৯৯ শেষপ্রায়-২০০০ সালের শুরুর দিকে, বাকশাল সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার তৌহিদী জনতা যখন ঐক্যবদ্ধ। ছাত্র সংগঠন গুলো একে একে প্রস্তাবনাও করছে গণ সংগঠনে-সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য গঠনের। ছাত্রদলের (পিন্টু ভাই), ছাত্র শিবিরের (জোবায়ের ভাই), ছাত্র মজলিসের (মুনতাসির ভাই) ও ছাত্র সমাজের জরুরি বৈঠক বসলো নয়াপল্টন বিএনপির অফিসে। স্ব স্ব সংগঠনের সভাপতিরা তাদের বিভিন্ন কৌশলী এবং সরকারের অপকর্ম বিরুধী কাজ রুখার পরামর্শ দিচ্ছেন। কোন একটা বিষয়ে মতের অমিল হওয়ায়-ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি পিন্টু ভাই বললেন, মুনতাসির ভাই আপনিই সিদ্ধান্ত দিন? সূক্ষ্ম প্রতিভাবান ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি, তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও তুখোড় ছাত্রনেতা-মুহাম্মদ মুনতাসির আলী একটি প্রস্তাবনা পেশ করতেই, ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি এহসানুল মাহবুব জোবায়ের ধন্যবাদ মুনতাসির ভাই বলে ঐক্যমতে পৌছলেন।

বিষয়টি ছিলো; ছাত্রঐক্যের লিখিত দাবীমালা বা প্রস্তাবনা! নিপিড়ন আর শোষণের গ্লানি থেকে আপামর বাঙালিকে উদ্ধার করার মানসে মুনতাসির আলী-পরদিন লিখিত ১টি নীতিমালা তৈরি করে, ছাত্রঐক্যের প্রেসিডেন্ট মিটিংয়ে পেশ করলেন। সামান্য এডিট করেই তা ফাইনাল করা হয় ঐদিন।
শুরু হলো দুর্বার আর অসহযোগ লড়াই। মুনতাসির আলীকে গ্রেফতার করলো আওয়ামী পুলিশ। ছাত্র সংগঠনের ইস্পাত কঠিন লড়াইয়ে কিছুদিন পর মুক্ত হলেন মুনতাসির আলী। সপ্তাহ খানেক যেতে না যেতেই ছাত্রঐক্যের সমাবেশ থেকে আবারো গ্রেপ্তার হলেন তিনি। অবশেষে ছাত্র মজলিসের তুখোড় আন্দোলনে তাকে মুক্তি দিলেও-জেলগেট থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা দেখিয়ে পূণর্বার হাজতে প্রেরণ করে আওয়ামী সরকার।

২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার গঠনের কিছুদিন পুর্বে, জামিনে মুক্তি পান ছাত্রঐক্যের সমন্বয়ক, ছাত্র মজলিসের বার বার নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মুনতাসির আলী।
প্রবাসী অধ্যূসিত এলাকা, সিলেটের বিশ্বনাথ জাঁহারগাঁওয়ে ধর্মীয় আনুগত্যশীল পরিবার মরহুম সমুজ আলীর ঔরসে জন্ম মুনতাসির আলীর।
বিশ্বনাথ রামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে অধ্যয়ণ থেকেই, মুনতাসির আলীর ইসলামী আন্দোলনের প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি হয়। একাধারে সিলেট সরকারি কলেজ, এমসি কলেজ ও সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ (বাংলা) ও দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সমাপ্ত করেন।
এই প্রত্যয়দীপ্ত লড়াকু সৈনিক সর্বদা স্বপ্ন দেখেন খোলাফায়ে রাশেদার আলোকে একটি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র বিণির্মানের। ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত, জনগণের কাছে জবাবদিহিতামুলক সরকার ব্যবস্থার। সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে ঝেঁকে বসা অন্যায়-অবিচারের মুলুৎপাটন করে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।