ইসলাম নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে ২য় দিনের কর্মসূচি পালিত

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ২৮ ২০২০, ১৭:৪২

এম.এস আরমান, নোয়াখালী:

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( নোবিপ্রবি)-এর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতীক মজুমদার এবং একই শিক্ষাবর্ষের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী পাল দীপ্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতীক মজুমদার ও দীপ্ত পালকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।

অবস্থান কর্মসূচিতে “বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার স্থান নাই’, ‘ধর্ম নিয়ে কটুক্তি কেন প্রশাসন বিচার চাই’, ‘নোবিপ্রবির আঙ্গিনায় সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’ স্লোগানে স্লোগানে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ৩৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। এই দেশ শাহজালালের দেশ, এই দেশ শাহ মাখদুমের দেশ এখানে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে বাংলার মুসলমান কখনো চুপ করে বসে থাকবে না। ‘অনতিবিলম্বে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তিকারী প্রতীক মজুমদার ও পাল দীপ্তকে অতি শিগ্রই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় শান্ত ক্যাম্পাস, শান্ত দেশকে অশান্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও জবাবদিহি করতে হবে। এদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
শিক্ষার্থীরা আরোও বলেন, ভারতবর্ষের ইতিহাসে আমরা যেসব ধর্মীয় দাঙ্গার জঘন্য ঘটনা দেখতে পাই বর্তমানে বাংলাদেশে ইচ্ছাকৃত অথবা অনাইচ্ছাকৃতভাবে সেসব দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিক মজুমদাররা। এদেরকে যদি এখনই না রুখা হয় তাহলে এদের মাধ্যমেই ধর্মীয় দাঙ্গা লাগবে আমাদের এই স্বপ্নের দেশে। স্থায়ী বহিষ্কার ছাড়া আর কোন বিকল্প হতে পারে না। এদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই।