ইসলামে ভাস্কর্য ও মূর্তি হারাম

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ১৯ ২০২০, ১৪:৪৭

ড. ইউসুফ আল কারযাভি

কোনো মুসলমানের ঘরে মূর্তি ও প্রতিমা থাকাকে ইসলাম কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করেছে। মূর্তি দ্বারা আমাদের উদ্দেশ্য হলো শরীরি ভাস্কর্যসমূহ। কোনো ঘরে মূর্তি ও প্রতিমা থাকা সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা আগমন করার অন্তরায়। অথচ তাদের আগমন আল্লাহ তাআলার রহমত ও তার সন্তুষ্টি লাভের কারণ হয়ে থাকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—

إن الملائكة لا تدخل بيتا فيه تماثيل أو تصاوير

অর্থাৎ, ‘ফেরেশতাগণ এমন ঘরে প্রবেশ করে না যে ঘরে প্রতিমূর্তি কিংবা ভাস্কর্য থাকে।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস: ৫৬১৩)

উলামায়ে কেরাম বলেন: যে ঘরে মূর্তি বা প্রতিমূর্তি থাকে তাতে ফেরেশতা প্রবেশ না করার কারণ হলো যারা নিজেদের ঘরে এগুলোকে রাখে তারা কাফেরদের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন করে। কেননা কাফের-মুশরিকরা নিজেদের ঘরে মূর্তি রাখে ও এগুলোর সম্মান করে। ফলে ফেরেশতাগণ ঘৃণাবশত তাদেরকে বর্জন করে তাদের ঘরে প্রবেশ করেন না।

কোনো মুসলমান মূর্তি ও প্রতিমূর্তি তৈরি কিংবা ভাস্কর্য নির্মাণ কার্যে লিপ্ত হওয়াকে ইসলাম হারাম ঘোষণা করেছে; যদিও সে অমুসলিমদের জন্য তৈরি করুক না কেন। নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—

إن أشد الناس عذابا عند الله يوم القيامة المصورون

অর্থাৎ, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে চিত্রকরদের।’ অপর বর্ণনায় আছে ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে সেসব ব্যক্তিদের, যারা আল্লাহর সৃষ্টির সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন করে।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস: ৫৬০৬)

নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—

من صور صورة في الدنيا كلف يوم القيامة أن ينفخ فيها الروح وليس بنافخ فيها ابدا

অর্থাৎ, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোনো ছবি নির্মাণ করবে কেয়ামতের দিন তাকে সেই ছবিতে প্রাণদান করতে বাধ্য করা হবে। অথচ সে কখনো প্রাণদান করতে সক্ষম হবে না।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস: ৫৯৬৩) এর অর্থ হলো তাকে নিজের তৈরিকৃত নিষ্প্রাণ ছবিতে প্রাণ দেবার জন্য বলা হবে, যেন সে অক্ষম ও অনন্যোপায় হয়ে যায়।

হারাম হবার রহস্য ও তাৎপর্য
এক. শরীরি মূর্তি ও প্রতিমূর্তি স্থাপন করা হারাম হবার কয়েকটি কারণ, রহস্য ও তাৎপর্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো আল্লাহ তাআলার তাওহিদ ও একত্ববাদের সংরক্ষণ এবং মূর্তি ও প্রতিমূর্তি স্থাপনে সেসব মূর্তিপূজকের সাদৃশ্য অবলম্বন হতে দূরে থাকা যারা নিজের হাতে প্রতিমা ও মূর্তি তৈরি করার পর শ্রদ্ধাবশত সেগুলোর সামনে বিনম্রচিত্তে দাঁড়িয়ে যায়।

সর্বপ্রকার পৌত্তলিকতার করালগ্রাস হতে একত্ববাদকে রক্ষা করার জন্য ইসলামের অনুভূতিপ্রবণতা চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। ইসলামের পক্ষে এ সতর্কতা অবলম্বন করা যথার্থ এবং শতভাগ সঠিক। কেননা পূর্ববর্তী অনেক জাতির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে, তারা তাদের সৎকর্মশীল মৃত ব্যক্তিদের কতিপয় মূর্তি নির্মাণ করেছিলো যেগুলোর দ্বারা তারা সেসব লোককে স্মরণ করত। এরপর কালের দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় তারা ধীরে ধীরে সেগুলোকে শ্রদ্ধা করতে শুরু করে যা শেষ পর্যন্ত তাদেরকে উপাস্য হিসাবে গ্রহণ করতে বাধ্য করে। তখন তারা সেসব মূর্তির কাছে নিজেদের আশা-আকাঙক্ষা প্রকাশ করতে থাকে এবং তাদের কাছে বরকত লাভের অনুরোধ জানাতে থাকে। সুতরাং ওয়াদ-সুআ-ইয়াগুস-ইয়াউক-নাসর বিশিষ্ট সম্প্রদায়ের ইতিবৃত্ত এমনই।

ইসলাম এ বিষয়ে এতটা স্পর্শকাতর ও অনুভূতিপ্রবণ হওয়াতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কেননা যে দীনের মূলনীতিসমূহ সর্বপ্রকার ওই ফাঁক ও ফাটলকে বন্ধ করে দিয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে জ্ঞান ও মনে স্পষ্ট-অস্পষ্ট শিরক অথবা মূর্তিপূজা কিংবা অন্যান্য ধর্মের অতিরঞ্জনকারীদের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন অনুপ্রবেশ করতে পারে—সে ধর্মের নীতি এমন হবে এটাই স্বাভাবিক। ইসলামি জীবন-ব্যবস্থা কোনো এক প্রজন্মের জন্য নয়, বরং বিশ্বমানবতা তথা প্রতিটি জনপদ ও ভূ-খ-ণ্ড কেয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য এ শরিয়ত কার্যকর থাকবে। এ শরিয়ত এমন নয় যে, এক পরিবেশের জন্য তা প্রযোজ্য, অন্য পরিবেশের জন্য প্রযোজ্য নয় কিংবা এক যুগের জন্য কার্যকর অন্য যুগের জন্য অকার্যকর!

দুই. মূর্তি প্রস্তুতকারীর প্রতি লক্ষ্য করে শরীরি মূর্তি ও প্রতিমূর্তি স্থাপন করা হারাম হবার কারণ হলো মূর্তি প্রস্তুতকারী ব্যক্তি মোহগ্রস্ত হয়ে মনে করতে থাকে যে, যেন সে-ই একটি অস্তিত্বহীন জিনিসকে অস্তিত্বে এনেছে! বা মৃত্তিকা হতে একটি জীবন্ত প্রাণী আবিষ্কার করেছে। জনৈক ব্যক্তি হতে বর্ণিত আছে যে, সে দীর্ঘদিন ধরে একটি মূর্তি নির্মাণ করতে থাকে। এরপর যখন তার মূর্তিটি প্রস্তুত করা সম্পন্ন হয় তখন সে মোহগ্রস্ত ও বিমুগ্ধ হয়ে আত্মগর্বে বলতে থাকে কথা বলো! কথা বলো!!

এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—

إن الذين يصنعون هذه الصور يعذبون يوم القيامة يقال لهم أحيوا ما خلقتم

অর্থাৎ, ‘নিশ্চয়ই যারা প্রতিমা বা ছবি নির্মাণ করে তাদেরকে কেয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে, বলা হবে তোমরা যা তৈরি করেছ তাতে জীবন দান করো।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস: ৫৯৫১)

একটি হাদিসে কুদসিতে এসেছে—

ومن اظلم ممن ذهب يخلق خلقا كخلقي فليخلقوا ذرة أو ليخلقوا شعيرة

অর্থাৎ, ‘ওই ব্যক্তির চেয়ে অধিক জালেম আর কে হতে পারে যে আমার ন্যায় সৃষ্টি করতে গিয়েছে? তারা আজ একটি অণু বা একটি যব যেন সৃষ্টি করে।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস: ৫৯৫৩)

তিন. এরপর যারা এই শাস্ত্রে একটি সময় পর্যন্ত চলতে থাকে, তারা কোনো অবস্থাতেই থামতে চায় না। ফলে তারা নগ্ন, অর্ধ নগ্ন রমণী-প্রতিকৃতি তৈরি করে থাকে। শুধু তাই নয়, তারা পৌত্তলিকতা ও অন্যান্য ধর্মের প্রতীক তথা ক্রুশ তৈরি করে থাকে যা ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারে না।

চার. সবকিছু বাদ দিলেও বাসস্থান ও নিকেতনে প্রতিমা ও ভাস্কর্য রাখা ভোগ-বিলাসে মত্ত দুনিয়াদার এমন ধনি লোকদের কাজ যারা নিজেদের প্রাসাদ ও কক্ষসমূহকে বিভিন্ন প্রতিমূর্তি দিয়ে সজ্জিত করে থাকে এবং এক্ষেত্রে তারা রকমারি ধাতু ব্যবহার করে। আর যে দীন স্বর্ণ-রৌপ্য দ্বারা শৌখিনতা ও বিলাসিতা করার ক্ষেত্রে যুদ্ধ ঘোষণা করে, সেই দীন প্রতিমা ও মূর্তির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক।

 

মহান ব্যক্তিদের অমর করে রাখার ইসলামি পন্থা:

হয়ত কোনো ব্যক্তি বলবে যে, এটা কি কৃতজ্ঞতা ও বিশ্বস্ততার পরিচায়ক নয় যে, কোনো জাতি নিজেদের গৌরবময় কীর্তি ও কর্মের মাধ্যমে ইতিহাসজয়ী তার সেসব প্রবাদ পুরুষদের ভাস্কর্য স্থাপনের মাধ্যমে তাদের ঐতিহ্য ও মর্যাদাকে যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে? কেননা জাতির স্বভাব হলো দিবা-রাত্রির বিবর্তনের ফলে সবকিছু ভুলে যায়।

এর উত্তর হলো ইসলাম কোনো ব্যক্তি ও তার সত্তাকে শ্রদ্ধা করা ও মর্যাদা দেয়ার ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি করা পছন্দ করে না; চাই সেই ব্যক্তি মৃত হোক বা জীবিত হোক। মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—

لا تطروني كما أطري عيسى بن مريم وقولوا عبد الله ورسوله

অর্থাৎ, ‘আমার প্রশংসা করার ক্ষেত্রে তোমরা এত বাড়াবাড়ি করো না যেমনটি খ্রিস্টানরা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম- এর ব্যাপারে করেছে, বরং তোমরা আমার ব্যাপারে বলো ‘তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসুল!’ (বুখারি শরিফ, হাদিস: ৬৪৪২) সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখে তার সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যেতে চাইতেন। কিন্তু তিনি তাদেরকে এমন করতে নিষেধ করে বলেন—

لا تقوموا كما تقوم الاعاجم ، يعظم بعضها بعضا

অর্থাৎ, ‘তোমরা অনারবদের মতো একে অপরকে সম্মান করার জন্য দাঁড়িয়ো না।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫২৩০)

মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে সতর্ক করে বলেছেন—

لا تجعلوا قبرى عيدا ودعا ربه فقال اللهم لا تجعل قبرى وثنا يعبد

অর্থাৎ, ‘তোমরা আমার কবরকে উৎসবগাহে পরিণত করো না।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২০৪২) তিনি আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করে বলেছেন, ‘হে আল্লাহ আমার কবরকে আপনি এমন প্রতিমার ন্যায় করবেন না যার ইবাদত করা হয়।’ (মুআত্তা-ইমাম মালেক, হাদিস: ৫৮) এক হাদিসে এসেছে_

عن أنس أن رجلا قال يا محمد يا سيدنا وابن سيدنا وخيرنا وابن خيرنا فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم يا أيها الناس قولوا بقولكم ولا تستجرينكم الشياطين أنا محمد بن عبد الله أنا عبد الله ورسوله وما أحب أن ترفعوني فوق منزلتي التي أنزلنيها الله عز وجل

অর্থাৎ, ‘হযরত আনাস রা. সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘জনৈক ব্যক্তি বললো, ‘হে মুহাম্মাদ! হে আমাদের ও আমাদের পিতার সর্দার! হে আমাদের শ্রেষ্ঠতম এবং আামাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সন্তান!’ তখন মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তোমরা তোমাদের যথার্থ কথামালা ব্যক্ত করো, তবে লক্ষ্য রেখো শয়তান যেন তোমাদেরকে দুঃসাহসী করে না তোলে। আমি মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ। আমি আল্লাহর বান্দা ও রাসুল! আমি এটা পছন্দ করি না যে, আল্লাহ তাআলা যে মর্যাদায় আমাকে অধিষ্ঠিত করেছেন তোমরা আমাকে আমার ওই মর্যাদার চেয়েও উচ্চস্তরে উন্নীত করবে।’ (সুনানে নাসাঈ-আলকুবরা, হাদিস: ১০০৭৭)

মানুষকে মর্যাদা দেওয়া ও শ্রদ্ধা করার ক্ষেত্রে এ ধর্মের অবস্থান হলো লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে সম্মান ও মর্যাদা প্রকাশের লক্ষ্যে কোনো ব্যক্তির জন্য মূর্তির ন্যায় প্রতিমূর্তি স্থাপন করা ইসলাম আদৌ সমর্থন করে না। সম্মান ও মর্যাদা প্রদানের মিথ্যা দাবিদার এবং ইতিহাস বিকৃতিকারীগণ নানা স্থানে ভাস্কর্য ও প্রতিমূর্তি স্থাপন করার ক্ষেত্রে জনগোষ্ঠীকে বিভ্রান্ত করে থাকে এবং ওই সব মহান ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয় জানার পথ রুদ্ধ করে দেয়।

মুমিনগণ যে অমরত্ব লাভের আশা করে থাকে, তাহলো আল্লাহ তাআলার কাছে চিরস্থায়ী অমরত্ব লাভ করা ও চিরঞ্জীব হওয়া; যিনি বাহ্য ও অভ্যন্তরের সকল বিষয় জানেন। অনেক মহান ও ভাগ্যবান এমন ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের নাম তার কাছে লিপিবদ্ধ করা আছে; অথচ বিশ্ব মানবতার কাছে তারা অপরিচিত। আর এটা এ কারণে যে, আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীল ও খোদাভীরু লোকদেরকে ভালোবাসেন যারা কোনো মজলিসে উপস্থিত হলেও তাদেরকে চেনা যায় না। তারা হারিয়ে গেলেও তাদের খবর কেউ রাখে না।

আর যদি অমরত্ব লাভ করা অতি আবশ্যক হয়, তাহলে কখনো তা ভাস্কর্য স্থাপন করার মাধ্যমে হওয়া সংগত নয়। ইসলামে অমরত্ব লাভের অনুমোদিত পন্থা হলো কীর্তি ও কর্মে ভাস্বর ব্যক্তিদেরকে চিন্তা- চেতনায় ধারণ করে তাদের রেখে যাওয়া অনন্য কীতি ও কর্মসমূহ ব্যাপকভাবে প্রচার করা যেন সেগুলো থেকে পরবর্তী প্রজন্ম প্রেরণা লাভ করতে পারে।

মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, খুলাফায়ে রাশেদা, ইসলামের ইতিহাসের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবৃন্দ ও গবেষক ইমামগণের ভাস্কর্য ও প্রতিমূর্তি স্থাপন করার মাধ্যমে তাদেরকে অমরতা প্রদান করা হয় নি। তাদের নৈতিক গুণাবলি ও মহৎ কৃতিত্বসমূহ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আলোচিত হয়ে লোকদের অন্তরে তারা অমরত্ব লাভ করেছেন। কোনোরূপ প্রতিমূর্তি ও ভাস্কর্য ছাড়াই তাদের স্মরণ ও আলোচনা জ্ঞানসমূহকে পূর্ণতা ও প্রেরণা দান করোছে এবং হৃদয়সমূহকে আলোকিত করে চলেছে!

অনুবাদ: আবদুল কাইয়ুম শেখ