ইসলামী দলগুলোর সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ০৩ ২০২২, ২৩:৫৩

সৈয়দ শামছুল হুদা: বিপুল সম্ভাবনার এক মুসলিম দেশ প্রিয় বাংলাদেশ। এ দেশের অসংখ্য রীতি-নীতি খুবই সম্ভাবনার। মানুষের ধর্মীয় আবেগ-উচ্ছাস বিপুল ও সীমাহীন। এদেশে রয়েছে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে সংগ্রামরত অসংখ্য রাজনৈতিক দল-উপদল। আছে ধর্মপ্রাণ বিপুল জনগোষ্ঠী। ময়দানে মাঝে মাঝেই দেখা দেয় এদের প্রচন্ড জোয়ার। আবার অকালে হারিয়েও যায়। এদেশে ইসলামী দল আছে। সংগঠন আছে। আছে ইসলামী স্কলার ও ব্যক্তিত্ব। যেটা নেই সেটা হলো এগুলোর যথাযথ সমন্বয় ও সঠিক ব্যবহার। এ কারণে দিন দিন ইসলাম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বারান্দা থেকে শুধু দূরেই ছিটকে পড়ছে। কোনো প্রকার কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে পারছে না। রাষ্ট্র থেকে ন্যূনতম অধিকার বা ধর্মীয় মর্যাদা রক্ষা করতে পারছে না।

উপরুন্তু সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ এবং ‘মুসলিম বিশ্বের সাথে অগ্রাধিকারমূলক সম্পর্কে’র যে গুরুত্বপূর্ণ বিধান ছিল সেটাও তুলে দেওয়া হয়েছে। কোনোরকমে বেঁচে আছে রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ শব্দটি। নতুন করে যোগ হয়েছে, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলাম শিক্ষাকে অপাংক্তেয় করে দেওয়ার কূটকৌশল। এস.এস.সি লেবেলের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা থেকে ইসলাম শিক্ষা ও দাখিলের আরবি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক থেকে ঐচ্ছিক বিষয়ে নিয়ে যাওয়া। যা বাস্তবতার নিরিখে পরিত্যক্ত হওয়ারই সমতুল্য।

কেন এমন হচ্ছে? এতগুলো দল থাকতেও কেন তারা কোনো প্রকার সফলতা পাচ্ছে না? এ বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। নিরপেক্ষ পর্যালোচনা হওয়া দরকার এবং উত্তরণের কৌশল কী হতে পারে তা নিয়ে ভাবা দরকার।

দেশে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা – ৪৪ টি। তারমধ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশসহ ৫টি দলের নিবন্ধন নানা কারণে বাতিল বা স্থগিত করে রাখা হয়েছে। ৩৯টি দলের নিবন্ধন কার্যকর রয়েছে। এ নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইসলামী দলও রয়েছে। যে দলগুলোর নিবন্ধন আছে এবং তারা ইসলামী দাবী করে সেগুলো হলো—

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- নিবন্ধন নং- ৩৪, প্রতীক : হাতপাখা।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-নিবন্ধন নং : ২৩, প্রতীক- খেজুর গাছ। 

খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ-নিবন্ধন নং- ২০, প্রতীক – বটগাছ।

খেলাফত মজলিস -নিবন্ধন ন নং- ৩৮, প্রতীক- দেওয়াল ঘড়ি। 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস -নিবন্ধন নং- ৩৩, প্রতীক- রিকসা।

ইসলামী ঐক্যজোট- নিবন্ধন নং- ৩২, প্রতীক- মিনার, 

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন -নিবন্ধন নং- ১৯, প্রতীক- ফুলের মালা। 

জাকের পার্টি- নিবন্ধন নং- ১৬, প্রতীক- গোলাপ ফুল।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ -নিবন্ধন নং-২১, প্রতীক- হারিকেন।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)- নিবন্ধন নং- ৪০, প্রতীক- ‘হাত’ (পাঞ্জা)।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ -নিবন্ধন নং- ৩০, প্রতীক- চেয়ার।  

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট -নিবন্ধন নম্বর- ৩৫, প্রতীক- ‘মোমবাতি।

উপরোক্ত দলগুলো ছাড়াও নিবন্ধন নেই এমন অনেক ইসলামী দল আছে। নানা কারণে হয়তো নিবন্ধন পায় নাই। কিন্তু সকল দলগুলোই মোটাদাগে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলে। মানুষকে এই দাবীতেই তাদেরকে ভোট দিতে বলে। কিন্তু এতগুলো দল থাকতেও বড় ধরনের কোনো সাফল্য আসছে না। এসব দলগুলো নিজেদের মধ্যেও কোনো রকম ঐক্য গড়ে তুলতে পারছে না, তারা নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব সৃষ্টি করতে পারছে না। এটা বড়ই দুঃখের বিষয়। এসব ইসলামী দলগুলোর মধ্যে কওমী ধারার বেশকিছু দল আছে। তাদের সকলের চিন্তা- চেতনা, মৌলিক আদর্শ রাজনৈতিক দর্শন, লক্ষ্য- উদ্দেশ্য একেবারেই কাছাকাছি। তারপরও তারা একত্রিত হতে পারছে না। আবার কিছু ইসলামী দল আছে যারা নিজেরা ইসলামী দাবী করলেও মূলত: ইসলামের ধারক-বাহক হওয়ার তেমন কোনো যোগ্যতা তারা রাখে না। মাজারকেন্দ্রেক নিবন্ধিত ইসলামী দলই আছে ৩টি।

মোটা দাগে এতগুলো দলের মধ্যে দুটি দল অনেকটাই অগ্রগামী। তারা হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মাঠে তাদের যথেষ্ট শক্তি আছে। নানা প্রান্তিক হিসেব-নিকেশের কারণে তারাও সফল হতে পারছে না। তারমধ্যে কিছু আছে অভ্যন্তরীণ সমস্যা, আর কিছু আছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে সৃষ্ট সমস্যা। এ দুটি দলের বর্তমানে যে জনশক্তি আছে এবং তাদের সাথে আরো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যে সব ইসলামী দল আছে, তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা যদি কমিয়ে আনা যেতো, তাহলে হয়তোবা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যার কিছুটা হলেও মোকাবেলা করা সম্ভব হতো। ভেতরে দুর্বলতা থেকে গেলে তখন আর বাইরের শত্রুকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করা যায় না।

আজকে দুটি দলের কিছু কর্মপন্থা, দুর্বলতা এবং সফলতা কোন পথে তা নিয়ে সামান্য আলোকপাত করবো। হয়তো এতেও কোনো কোনো ভাই মন:ক্ষুন্ন হবেন। তারপরও বলা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ইসলামী ধারার একটি প্রভাবশালী প্রাচীন দল। নানা বিতর্ক এবং আদর্শিক সিদ্ধান্তহীনতা তাদেরকে ব্যাক সাইটে ফেলে দিয়েছে। জামায়াতের সামনে দু মুখী সমস্যা। একটি হলো রাজনৈতিক, অপরটি হলো- ধর্মতাত্বিক। ৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের ভূমিকার প্রশ্নে একটা সমাধান আসা দরকার ছিল। সেটা তারা দীর্ঘ দিনেও সুরাহা করতে পারেনি। আমি মনে করি, এ প্রশ্নে তারা দলের নাম এবং সেই সময়ের ভূমিকার জন্য তারা জাতির কাছে পরিস্কার বার্তা দিলে অনেকটা ফ্রন্ট সাইটে আসতে পারতো। এটা দুনিয়ার নিয়মই, কেউ যুদ্ধে হেরে গেলে তার ভূমিকা সঠিক ছিল না বেঠিক ছিল সেটা বিবেচ্য হিসেবে দেখা হয় না। এদেশের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ধারা এবং প্রতিবেশি দেশটির সরাসরি ইন্ধন দলটিকে ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে। ৭১ এর যুদ্ধে জামায়াতের বিরোধিতার মূলেই ছিল সেই প্রতিবেশি দেশটি। জামায়াত দেশের স্বাধীনতা চায় নাই, এ বিষয়টি আমি নিজেও বিশ্বাস করি না। যেহেতু প্রতিবেশি দেশটি যুদ্ধে সহায়তা করেছে। যাদের তারা সহায়তা করেছে তারাই আজ জামায়াতকে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যেহেতু যুদ্ধে হেরে গেছে, সেহেতু দলটির নাম এবং ভূমিকা নিয়ে দলটির শীর্ষ নেতারা দু’বার ভাবা দরকার ছিল। কিন্তু তারা একবারও ভাবে নাই। তারা একগুঁয়েমি করেই গিয়েছে। ফলে তারা বড় ধরনের দোষে অভিযুক্ত না হয়েও রাজনীতিতে তাদেরকে দুর্বল জায়গায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জামায়াত তাদের হাতে সময় ও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেই সুযোগটি কাজে লাগায়নি।

দ্বিতীয় সমস্যাটা হলো, ধর্মতাত্ত্বিক। দলটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল আ’লা মওদুদী রহ. যখন নতুন ধারার একটি রাজনৈতিক বিপ্লব ঘটানোর লক্ষ্যে প্রচুর লেখালেখি করেছেন, তখন ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক বেশ কিছু ধর্মতাত্ত্বিক বিরোধ তৎকালীন শীর্ষ আলেমদের সাথে ঘটে গেছে। তাঁর খুব কাছের কিছু গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব মাওলানা সাহেবের জীবদ্দশাতেই দল ছেড়ে চলে গেছেন। পরবর্তীতে উনারা বই লিখে দল ত্যাগের কারণও জানিয়েছেন। এই বিষয়টি এত বছর পরও সমাধান করা সম্ভব হলো না। দলটির জন্য আমার আফসোসের কারণ হলো, এই দলের সহযাত্রী আলেম সমাজের কলম সৈনিকগণ এবং কতিপয় বক্তা ধর্মতাত্বিক বিষয়ের বিতর্ক জিইয়ে রাখতে দুর্বার ভূমিকা রেখেছেন। একদিকে দলের নেতারা বলেন, আমরা মাওলানার এসব বিষয়ের অন্ধ অনুসরণ করি না, আমরা কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করি, ব্যক্তির কোনো অনুসরণ জামায়াত করে না। অপরদিকে উনাদেরই দলের কিছু ভাই দলীল-আদিল্লা নিয়ে উলামায়ে কেরামদের সাথে বিতর্ক জিইয়ে রেখে পুস্তকাদি প্রকাশ করেন। এটাকে দলের লোকেরা আবার প্রমোটও করে। এই দু মুখী নীতির কারণে তারা এদেশের আলেম সমাজেরও কাছে বিশ্বস্ত হতে পারছেন না।

মাওলানা’র সামান্য কিছু বিষয় উনারা বাদ দিতেই পারেন না, অথচ তুরস্কে আজকে যারা ক্ষমতায় তারা কতবার দল হারিয়েছেন, নেতা হারিয়েছেন, নাম পাল্টিয়েছেন। অবশেষে তারা সফল হয়েছেন। বাংলাদেশের বৃহৎ শক্তিশালী এই দলটি কোনো ব্যক্তি বা নামের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে না, কিন্তু দলের বিতর্কিত ভূমিকার সাথে জড়িয়ে যাওয়া নামটি বাদও দিতে পারে না। ছোট-খাটো বিষয় যা নিয়ে বিতর্ক, সেগুলোও ছাড়তে পারেন না। মুখে বলেন, আমরা এগুলো মানি না, বাস্তবে ছাড়েন না। এ কারণে এত শক্তিশালী কর্মী বাহিনী থাকা সত্ত্বেও গণ মানুষের ভালোাবাসা যথাযথভাবে অর্জন করতে পারেন নাই।

দ্বিতীয় শক্তিশালী দলটি হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গত ১৩/১৪ বছরে রাজনৈতিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা উন্নতির পরম ও চরম শিখরে উনাদের এখন অবস্থান। সরকার খুব কৌশলের সাথে দলটিকে মোটামুটি হুজুরদের দলে পরিণত করতে পেরেছে। বর্তমানে এদের যে কোনো মিছিল-মিটিং দেখলে মনে হবে, তারা হেফাজতের বিকল্প একটি দল। শুধুই ধর্মীয় নেতাদের একটি সংগঠন। গত দশ বছরে তারা কওমী ও কওমী ধারার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বিনা বাধায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন, যেভাবে তাদের অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে এটা সকলের জন্যই ঈর্ষণীয়। একদিকে তাদের উত্থান ঘটেছে। অন্যদিকে কওমী ধারার বাকী সবগুলো দল একেবারে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে।

বাহ্যত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সামনে বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু দলটির অভ্যন্তরীন কিছু বিষয় যেটা থেকে উনাদের বের হয়ে আসা প্রায় অসম্ভব। তারমধ্যে একটি বিষয় হলো এমন, যেটা উনাদের একদিকে সফলতার কারণ, অপরদিকে এটাই আবার তাদের সীমাবদ্ধতার কারণ। আর তা হলো, দল ও দরবার এর সমন্বয়। দলটির প্রধান পরিচয় হলো এটি একটি দরবারকেন্দ্রিক দল। তারা যতই জনপ্রিয়তা অর্জন করুক, দরবারের জায়গায় তারা সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ এখানে নেতৃত্বের বিকাশ, চূড়ান্ত পর্যায়ে যত বড় যোগ্য লোকই হোক শীর্ষ পদ-পদবীতে পৌঁছা সেখানে হয়তো কারো পক্ষেই সম্ভব হবে না। এ কারণে গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা করা হলেও বাস্তবে হয়তো সেটা সত্যিকার অর্থে প্রয়োগ সম্ভব না।

তবে দলটিতে বর্তমানে প্রচুর নেতা ও কর্মী আছে। গ্রামে-গঞ্জে তাদের বিপুল সমর্থক তৈরি হয়েছে। কিন্তু দেশ ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে ধরনের প্রশিক্ষিত জনশক্তি দরকার, তারা সময়ের স্বল্পতার কারণে হোক অথবা অন্য কোনো কারণে হোক জনবল অনুপাতে যোগ্য লোকের যোগান দিতে এখনও দক্ষতা দেখাতে পারছে না। তাদের রাষ্ট্রীয় দর্শন কী হবে, দেশের সাধারণ মানুষ তাদের ঠিক কী কারণে অগ্রাধিকার দিবে, সেই বিষয়গুলো এখনো তারা পরিস্কার করতে পারেননি। যদি তারা এসব বিষয় পরিস্কার করতে পারেন এবং অন্যান্য দলগুলোর সাথে মিশে কাজ করার জন্য ধৈর্য এবং সহনশীলতা দেখাতে পারেন, তাহলে ভালো কিছু করাও সম্ভব।

এছাড়াও দলটিতে নতুনদের গ্রহণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সব মত ও পথের মানুষদেরকে আপন করে নেওয়ার ব্যাপারেও আছে দুর্বলতা। দরবার কেন্দ্রীক আদর্শিক চাপ থাকায় তারা সবকিছু সবার মতো করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পেছনেও এ ধরনের কারণ বিদ্যমান। রাজনীতিতে সব ধরনের মানুষের প্রয়োজন হবে। সেখানে নারী, পুরুষ, আলেম, সাধারণ সব শ্রেণি- পেশার মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি উদাসীনতা দলটির সীমাবদ্ধতা প্রমাণ করে। নারী নেতৃত্ব, গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অনুসরণ প্রশ্নেও দলটির দ্বৈতনীতি কাজ করে। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে দলটির সামনে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

এ দুটি দল ছাড়া ইসলামী দলগুলোর আর তেমন কোনো জনভিত্তি নেই। হ্যা, যদি সকলেই রাজনৈতিক ইস্যুতে এক হতে পারে, বড় দল দুটি একটু ছাড় দিয়ে কাছাকাছি আসতে পারে, তাহলে ভালো কিছুর আশা করা যায়। পাকিস্তানের উলামায়ে কেরাম, বিশেষ করে মুত্তাহিদা মজলিসে আমল এর মাধ্যমে ঐক্য গঠন করে একবার ভালোই সফলতা পেয়েছিল। ঐক্য টিকে নাই, সফলতাও স্থায়ী হয় নাই। সবারই কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এগুলোকে স্বীকার করে নিয়ে যদি ইসলামী ধারার দলগুলো যদি কাছাকাছি আসতে পারে, রাজনৈতিক কারণে দলগুলোর অভ্যন্তরীণ বিরোধ যদি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে পারে তাহলে আগামী নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবে। এছাড়া আলাদাভাবে সফলতার সম্ভাবনা খুব কম।

জেনারেল সেক্রেটারি

বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়াল মুভমেন্ট বিআইএম