ইলিশ যেতেই পেঁয়াজ বন্ধ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ১৫ ২০২০, ১১:৫২

আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে দুই দেশের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে ১২ টন ইলিশের একটি চালান সোমবার বিকেলে পাঠানো হয়েছে ভারতে। তার বিপরীতে কিছুক্ষণ পরই সন্ধ্যায় প্রতিবেশী দেশটি থেকে এসেছে আশাহত হওয়ার মতো খবর-বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে ভারত।

এক নোটিফিকেশনে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সব ধরনের পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর আগেও গত বছরের একই মাসে (সেপ্টেম্বর) ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশে দাম বেড়ে কেজিপ্রতি উঠেছিল ৩০০ টাকার ওপরে।

সেপ্টেম্বর এলেই চড়তে থাকে পেঁয়াজের বাজার। ইতোমধ্যেই গত এক মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে পেঁয়াজের দাম। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো গতকাল এক সিদ্ধান্তে সেই দামের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে ভারত। কোনো রকম পূর্বঘোষণা ছাড়াই গতকাল সোমবার থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। আর এ খবর জানাজানি হতেই ‘রহস্যজনকভাবে’ আড়তগুলোতে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বাজারেও এক বেলার মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা।

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম থেকে অস্থিরতা বিরাজ করছে পেঁয়াজের বাজারে। হঠাৎ করেই সব ধরনের পেঁয়াজের দাম প্রায় ৩০ টাকা করে বেড়ে বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একমাস আগেই দেশের বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকার মধ্যে ছিল। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

ভারতের সঙ্গে পেঁয়াজ রফতানি নিয়ে এলসি করা হয়েছে। সীমানার ওপারে অর্থাৎ ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে পেঁয়াজ বোঝাই দেড়শটির বেশি ট্রাক। এগুলো সময়মতো বাংলাদেশে প্রবেশ না করলে ব্যাপক লোকসান গুনতে হবে বলে জানান দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

গতকাল সকাল থেকে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভারতের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শংকর দাস। তিনি জানান, স¤প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রফতানি বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি। আমদানির জন্য যেসব এলসি খোলা রয়েছে এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সেগুলোর বিপরীতেও কোনো পেঁয়াজ রফতানি হবে না জানান তিনি।

ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজের চালান আসা বন্ধ হয়ে গেলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি বা প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়ে কিছুই অবগত নয়।

গণমাধ্যমকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘এখনো রফতানি বন্ধের খবর নেই। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে কিছুটা সমস্যা হলেও গতবারের মতো খারাপ অবস্থা হবে না।’

এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) সদস্য আবু রায়হান আলবেরুনী বলেন, দেশে পেঁয়াজের যে মজুদ আছে, তা দিয়ে ভালোভাবেই চলবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।

গত বছরের মতো পেঁয়াজের দাম যেন জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে না যায়, সেদিকে নজর আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। এরই মধ্যে গত রবিবার থেকে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ হারুন বলেন, ‘গতকাল সকাল থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই কোনো ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করেনি। তবে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো চিঠি ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। আমরা সেখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখছি আমদানি স্বাভাবিক রাখতে।’

একাধিক আমদানিকারক জানান, ভারতীয় রফতানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তাদের জানিয়েছেন ভারত কোনো পেঁয়াজ রফতানি করবে না। এ বিষয়ে কোনো চিঠি না দিলেও ভারতীয় কাস্টমসের নিষেধ থাকায় সকাল থেকেই আমদানি বন্ধ রয়েছে।

তারা আরো জানান, ‘আমাদের অনেক আমদানিকারকের বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা রয়েছে। আমরা তো এখন বিপাকের মধ্যে পড়ে গেছি। আমরা তাদের বলছি আমাদের যেসব এলসি খোলা রয়েছে সেগুলোর পেঁয়াজ রফতানির জন্য। আমাদের বহু এলসির বিপরীতে পেঁয়াজের বহু ট্রাক সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন যদি তারা পেঁয়াজ না দেয় তাহলে আমাদের এসব পেঁয়াজের কী অবস্থা হবে সে চিন্তায় আছি।’

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ভারতীয় কাস্টমসের সাথে কথা হয়েছে তাদের। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত রফতানি বন্ধ থাকবে।

আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি ফারুক হাসান জানান, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বেনাপোল বন্দর দিয়ে রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় পেট্রাপোলে আটকা আছে পেঁয়াজভর্তি প্রায় ১৫০টি ট্রাক। একই অবস্থা ভোমরা বন্দরেও। ভোমরা বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।

ভারতের একটি সূত্র জানায়, দেশের সব বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে সকালের দিকে ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ঢোকার পরপরই দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারতের পেঁয়াজ রফতানিকারকদের সংগঠন।

পেট্রাপোল রফতানিকারক সমিতির পক্ষে কার্তিক ঘোষ বলেন, ‘পেঁয়াজ রফতানিকারক সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করবে না। সে কারণে অনেকগুলো গাড়ি সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে।’

বেনাপোলের পেঁয়াজ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য শুরুর পর থেকে ২৫০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসছে। ভারতের নাসিকে বন্যার কারণে দাম বেড়ে যাওয়ায় রফতানিকারকরা স্থানীয় বাজারদর হিসাবে ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজের রফতানি করবে না। এ কারণে তারা পেঁয়াজের রফতানি সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে।

ভারতের বনগাঁওয়ের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী অনিল মজুমদার টেলিফোনে জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে তাদের আপত্তি নেই। বাজারদরে এলসি পেলে তারা পুনরায় রফতানি শুরু করবেন। সে ক্ষেত্রে পুরানো যেসব এলসি দেয়া আছে সেগুলো ২৫০ ডলার সংশোধন করে সংশোধিত মূল্যে এবং নতুন এলসি ৭৫০ ডলার করা হলে পেঁয়াজের আমদানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ‘পারস্পরিক বাণিজ্যে সমঝোতার বিকল্প নেই। তারা রফতানি বন্ধ না করে পেঁয়াজের আমদানিকারকদের সময় বেঁধে দিতে পারতেন। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তটা নেয়া ঠিক হয়নি।’

ভোমরা বন্দর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি জানান, সকাল থেকে ভারতীয় কোনো পেঁয়াজের ট্রাক ভোমরা স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি। পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ব্যাপারে লিখিতভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, ‘সকাল থেকেই কোনো পেঁয়াজের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেনি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে গেলে দাম নির্ধারণ করে দেয় ন্যাপেট নামে একটি সংস্থা। বর্তমানে এক টন পেঁয়াজের রেট চলছে ৩০০ ডলার। সেটি সম্ভবত বাড়িতে ৫০০ বা ৭০০ ডলার নির্ধারণ করবে। সে কারণে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।’

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মাকসুদ খান বলেন, ‘বর্তমানে যে রেটে ভারতীয় রফতানিকারকরা পেঁয়াজ রফতানি করছেন সেটিতে তাদের লোকসান হচ্ছে। যে কারণে ন্যাপেট পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে। ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন কম। মূলত উৎপাদন কম ও কম মূল্যে রফতানি করতে না পারায় ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে।’

ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন বলেন, ‘বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভারতীয় কোনো পেঁয়াজের ট্রাক বন্দর দিয়ে প্রবেশ করেনি। পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের কোনো কারণও জানা যায়নি। লিখিতভাবে ভারতের ঘোজাডাঙা বন্দর কর্তৃপক্ষও কিছু জানায়নি।’

রফতানি বন্ধ করেছে কি না খোঁজ নেয়া হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, এখনো রফতানি বন্ধের খবর নেই। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে কিছুটা সমস্যা হলেও গতবারের মতো খারাপ অবস্থা হবে না বলেও জানান তিনি। এবার গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতোমধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি।

ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে কি না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল টিপু মুনশি বলেন, ‘না, আমরা এখনো জানি না। তবে আপনি ও আরো একজনের কাছে শুনলাম। বিষয়টা চেক করছি।’

পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে কোনো আলোচনা করবেন কি না-জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, ‘আজ মনে হয় ভারত এ বিষয়ে নিজেদের করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসেছে। হয়তো রফতানির মূল্য পরিবর্তন না কী করবে, দেখা যাক। ভারতের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ অব্যাহত রাখছি।’

খুব সতর্ক বাংলাদেশ: পেঁয়াজ আমদানির ওপর আরোপিত পাঁচ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআরকে) চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এ বছর পেঁয়াজের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সম্প্রতি বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। এবার গতবারের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনো শঙ্কা নেই। গতবার একেবারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এবার আমরা খুব সতর্ক। ’

জানা গেছে, পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমাতে জরুরি ভিত্তিতে তুরস্ক থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জিটুজি বৈঠকের পর মিয়ানমার থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে এই পেঁয়াজ জাহাজে করে দেশে আনবেন বেসরকারি খাতের আমদানিকারকরা।

অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে গত রবিবার থেকে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে প্রতিকেজি ৩০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। দেশব্যাপী ২৭৫ জন ডিলারের ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এ বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৪০টি, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুরে সাতটি, ময়মনসিংহে পাঁচটি, রাজশাহীতে পাঁচটি, খুলনায় সাতটি, বরিশালে পাঁচটি, সিলেটে পাঁচটি, বগুড়ায় পাঁচটি, কুমিল্লায় পাঁচটি, ঝিনাইদহে তিনটি ও মাদারীপুরে তিনটি করে মোট ১০০টি ট্রাক থাকবে। অন্যান্য জেলার প্রতিটিতে দুটি করে ১০৪টি এবং আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাভুক্ত উপজেলার জন্য পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত পাঁচটি করে মোট ৬০টি ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।