ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ইব্রাহিম রাইসি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ১৯ ২০২১, ১৯:২২

নির্বাচন পূর্ব ধারণা আর বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলই হলো সত্য। ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন দেশটির বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শনিবার সকালে তার জয়ের খবর প্রকাশ করে। এরইমাঝে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পরাজিত প্রার্থীরা। গতকাল স্থানীয় সময় শুক্রবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৫ কোটি ৯ লাখ ভোটারের মধ্যে এ নির্বাচনে ২ কোটি ৮ লাখ ভোটার তাদের ভোট দেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়, রাইসি ৬২ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজায়ী পেয়েছেন কেবল ৩৩ লাখ ভোট। আর আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী হিম্মতি পেয়েছেন ২৪ লাখ ভোট।

এর আগে আহমেদিনিজাদের মতো শক্তিশালী প্রার্থীরা আগেই প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়ায় রাইসি ছিলেন সবচেয়ে এগিয়ে। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হওয়া ইব্রাহিম রাইসিই তাই এবার প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন।

উল্লেখ্য, ইব্রাহিম রাইসি বর্তমান ইরানের প্রধান বিচারপতি। ৬০ বছর বয়সী রাইসি বর্তমানে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম।

ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা খামেনি এবং রাইসির জন্ম একই স্থানে, দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে। দেশটির সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়ের কট্টরপন্থিমহলে রাইসির জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক। রাইসির দাবি, তিনি বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সঃ)-এর বংশধর। এই কারণে সবসময় কালো রঙের পাগড়ি পরেন তিনি।

তবে ইরানের গণতন্ত্রপন্থি বলয়ে তার জনপ্রিয়তা বেশ কম। আশির দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় দেশটিতে তৎপর হয়ে উঠেছিলেন গণতন্ত্রপন্থিরা, যারা ক্ষমতাসীন ইসলামী কট্টরপন্থি সরকারের বিরোধী। যুদ্ধ শেষে তেহরানের রেভ্যুলুশনারি আদালত সংক্ষিপ্ত বিচারকাজের পরই তাদের অধিকাংশকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়। সে সময় রেভ্যুলুশনারি আদালতের প্রধান বিচারক ছিলেন রাইসি।

ওই বিচার প্রক্রিয়ার পরই খামেনির আস্থাভাজন হিসেবে উঠে আসেন ইব্রাহিম রাইসি।

২০১৯ সালে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে রাইসিকে নিয়োগ দেন খামেনি। ইরানের শিয়া মুসলিমদের কাছে পবিত্র তীর্থ বলে বিবেচিত ইমাম রেজার মাজারের রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দাতব্য কার্যক্রম ও দেশের অধিকাংশ কোম্পানি পরিচালনাও করে থাকে এই ফাউন্ডেশন।