ইবি শিক্ষকের আপত্তিকর অশ্লীল কর্মকাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠন 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ০৩ ২০২০, ১৯:১৩

শাহরিয়ার কবির রিমন, ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের অশ্লীল ও আপত্তিকর প্রেমালাপের অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফোনে শারীরিক সম্পর্কসহ অশ্লীল প্রেমালাপ করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় ঐ শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শিক্ষক ছাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের’ (টিএসসিসি) পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় । একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে কেন চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে ঐ শিক্ষককে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডঃ হালিমা খাতুন কে আহ্বায়ক,‌ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সাইফুল ইসলাম ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোষ্ট অধ্যাপক ডঃ সেলিনা নাসরিনকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।অফিস আদেশে বলা হয় , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও এক নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে কথোপকথনের একাধিক অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। অধ্যাপক রহমান ও নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে অডিওতে যেভাবে অশ্লীল ও আপত্তিকর কথাবার্তা হয়েছে তা শিক্ষক হিসেবে নৈতিক স্খলনের শামিল, যাতে শিক্ষক সমাজ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যকার সম্পর্কের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হয়েছে। এহেন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে টি এস সি সি’র পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে কেন চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারী বরাবর(রেজিস্ট্রার) কারণ দর্শানোর জন্য অদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হল। বিষয়টির সত্যাসত্য যাচাই-বাছাই করে তদন্ত কমিটিকে যথাশীঘ্র সম্ভব উপচার্যের নিকট প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হল।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) ওই শিক্ষক ও এক নারী শিক্ষার্থীর মধ্যকার আপত্তিকর ও অশ্লীল কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়। অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের ফাঁস হওয়া অশ্লীল অডিও ক্লিপ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

ফাঁস হওয়া ওই অডিও ক্লিপে ড. মিজানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে একা বাসায় আসার প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল আলাপ করতে শোনা যায়।