বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, সড়ক ছাড়া কোথায় করব? আমরা তো রাজপথের লোক রাজপথেই করব। আমরা রাজপথকে বেছে নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ তারা রাজপথে আমাদেরকে প্রোগ্রাম করতে দিতে বাধ্য হবে। আশা করছি, সেই সহযোগিতা আমাদের করবেন। না হলে সেই দায়-দায়িত্ব তাদের নিতে হবে। বিএনপির সমাবেশের দিন ১০ ডিসেম্বর শনিবার ছুটির দিন, সেইদিন সেখানে আমরা প্রোগ্রাম করতে পারি। সুতরাং আমরা ডিএমপির কাছে সেই সহযোগিতা কামনা করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী তারা সেই সহযোগিতা করবেন। না হলে নয়াপল্টন এরিয়ার মধ্যেই আমাদের থাকতে হবে।

আজ (৬ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানী বলেন, আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি চাইনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনিরাপদ। সেখানে আমরা কোনো প্রোগ্রাম করব না। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলেছি, অতীতেও বিএনপির অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অনেক প্রোগ্রাম হয়েছে। মহাসমাবেশও হয়েছে। রাজপথেই হয়েছে। সেভাবে বিএনপি অফিসের সামনেই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে করতে চাই। তারপরও ডিএমপি যেহেতু বিভিন্ন দিক থেকে চিন্তা ভাবনা করে অনুরোধ করেছেন, তাই পরবর্তীতে আমরা বলেছি, বিএনপির অফিসের পাশে আরামবাগ যে আইডিয়াল স্কুলের সামনে যে স্থানটি রয়েছে, সেখানে আশপাশে মাঠও আছে।

তিনি আরো বলেন, ডিএমপির সঙ্গে বিএনপির অব্যাহত যোগাযোগ আছে, আমরা আশাবাদী তারা বিএনপি অফিসের সামনেই আমাদের প্রোগ্রাম করতে দেবেন। যদি না দেন তাহলে বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে আরামবাগ আইডিয়াল স্কুলের সামনে দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করবেন। আরামবাগ বা নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার কোনো কারণ নেই, আমরা আগেও বলেছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনিরাপদ। সেখানে প্রোগ্রাম করব না। দায়িত্ব নিয়ে বলেছি, নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন পার্কে পরিণত হয়েছে, সেখানে অনেক ষড়যন্ত্র লুকায়িত রয়েছে। সেইগুলো আমরা জানি ও বুঝি। সেটা নিরাপদ নয়। যে কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বেছে নেইনি।