আর কত ধর্ষিত হবে নারী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ১৮ ২০১৯, ২১:৫১

 

আর কত ধর্ষিত হবে নারী
ফারজানা ইসলাম নিশি
—————
আর কত ধর্ষিত হবে নারী?
তনু গেলো, নুসরাত কে আগুনে পুরালো,
আবার প্রেমের প্রস্তাবে অস্বীকার করায়,
লিজাকে গলা কেটে হত্যা করলো।

এভাবেই শেষ হয়ে যাচ্ছে নারী
ধর্ষিত হচ্ছে দিনের পর দিন,
আর ভেঙ্গে যাচ্ছে ধর্ষিতার জীবনের আকাশচুম্বী স্বপ্ন।
হাইরে জারজ মানব,

ওরে কুলাঙ্গার ধর্ষকের দল।
বিচার নাইতো দেশে,
তাই তোদের নামে বিচার দিলাম, সৃষ্টিকর্তার কাছে।
ধর্ষিতের চোখে জল

রক্তমাখা আর্তনাদ নিয়ে চলে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে।
তবু তোদের বিচার হলো না
এটাই দুঃখ সকলের মনে।
মনে রাখিস একদিন ধর্ষিতের চোখের রক্ত দিয়ে

তোদের গঙ্গায় স্নান হবে,
চিৎকার করে কাঁদবে সেদিন,
নারী মনে ধর্ষিত প্রতিবাদী ঝড় উঠবে যেদিন।
সাদা কাপড় পরে,

লাশ হয়ে শুয়ে,
প্রতিবাদের আগুন জ্বালাবে তোদের দেহে।
এখনো বলি নিরব হ হে জারজ কুলাঙ্গারেরা।
মা বোনদের সম্মান কর,

ভালো মানব হ,
দুর্বল মানসিকতা পরিহার কর।
না হলে সমাজ থেকে বিতাড়িত হ কুলাঙ্গারেরা
ধর্ষিত নারী আর দেখতে চায় না,

একাত্তরের স্বাধীনতার মানহানী আর করতে চায় না।
দেশের বিচার ব্যবস্হা যদি হতো কঁঠোর
দেখতাম তোদের বাঁচাতে পারতো কোন অসাধু আদালত।
ধ্বিকার জানাই বিচার ব্যবস্হাকে।

আগুন লাগিয়ে পুরিয়ে ছাই করে দিতে ইচ্ছে করে,
এসব নগন্য বিচার ব্যবস্হাকে।
হতে তো পারবে না বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্হা,
মধ্যপাশ্চ্য আরব দুনিয়া,মঙ্গোলিয়া, মালয়েশিয়ার মতো

তাই বলি-

নারী তুমি কঁঠোর প্রতিবাদী হও
ধর্ষিত হয়ে গর্জে উঠো
প্রতিবাদী ঝড় তুলো।
শপথ নেও নারী মনে,

বাতাসে ভাঁসবে না আর, ধর্ষিতার লাশের গন্ধ।
আর হবোনা আমরা লাশ,
আর হবো না আমরা ধর্ষিত।