আবরার হত্যা; পেছনের রহস্য

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ০৮ ২০১৯, ১২:৩২

 

মুফতি আহমদ যাকারিয়া

আবরার হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত অমিত সাহাকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে রহস্যজনকভাবে! অথচ অনিক সরকারসহ সে-ই আবরারকে পেটানোয় নেতৃত্ব দিয়েছিল।

অমিত সাহা হিন্দু, এবং ইসকনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বিভিন্ন মাধ্যমে শুরু থেকেই অমিত সাহার নাম সোস্যাল মিডিয়ায় আসলেও রহস্যজনকভাবে তার নাম মামলায় আসামীর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রলীগের বহিষ্কার তালিকায়ও তার নাম নেই! কারণ ছাত্রলীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারিও কিন্তু ইস্কনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল।

খুনের সাথে জড়িত অপরাপর অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হলেও অমিত সাহা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে!

আওয়ামী লীগ অমিত সাহাকে শেল্টার দিচ্ছে এমনটি বলছি না। কিন্তু কোন্ শক্তি তাকে শেল্টার দিচ্ছে- তা একটু কষ্ট করে বুঝে নিন।

আবরার হত্যাকান্ডের সাথে আমিত সাহা সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা সত্বেও রহস্যজনকভাবে মামলার এজহার থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

যদিও সব মিডিয়া বলছে আবরার শিবির করতো; কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। সে তাবলীগ জামাতের সাথী ছিলো।

আসলে আবরারকে হত্যা শিবির করার কারণে নয়, ইসলামী স্ট্যাটাস দেবার কারনেও নয়, সরকারী বিরোধী স্ট্যাটাস দেবার কারনেও নয়,
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী স্ট্যাটাস দেবার কারনেও নয়, ছাত্রলীগ/আওয়ামীলীগ বিরোধী স্ট্যাটাস দেবার কারনেও নয়, আবরারকে হত্যা করা হয়েছে ভারত বিরোধী স্ট্যাটাস দেবার কারণে। শুধুমাত্র দেশের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিল এটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্যে।

অথচ কোন পত্রিকাই এই সত্যটা উচ্চারন করতে সাহস পাচ্ছে না পেছনের রহস্যময় কোন শক্তির কারণে। রহস্যজনক মৃত্যু, শিবির সন্দেহে হত্যা এসব বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

দেশ আজ কোথায় চলে গেছে একটু ভাবুন, ইসকনের সদস্যরা আজ মুসলমানকে ইন্টারোগেট করার ম্যাজিস্ট্রেসি রাখে, ইভেন মেরে ফেলারও আইনি গার্ডীয়ান তারাই?
সমস্যার মূল শেকড় কোথায় বুঝতে পারছেন? সমস্যা ভারত, হ্যাঁ সমস্যা ইসকন।

আবরার হত্যাকান্ডে অনেকেরই নাম আসতেছে। কিন্তু এর মধ্যে হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে দুইজন হিন্দু উগ্রবাদী ছেলে; অনিক সরকার এবং অমিত সাহা। যারা সরাসরি “ইসকনের” সাথে জড়িত। এই দু’জন আবরারের উপর ক্ষিপ্ত ছিল আবরারের ভারত বিরোধী মনোভাবের কারণে।

এই দু’জনের জন্যই আবরারের উপর ‘হালকা মাইর’ টা ‘ভারী মাইরে’ পরিনত হয়, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই নির্যাতন! রাত এগারোটা থেকে প্রায় রাত ৩ টা পর্যন্ত চলে এই পাশবিকতা।

কি পরিমান ঘৃণা নিয়ে আবরারকে মারা হয়েছে, এবং কতক্ষণ ধরে মারা হয়েছে, তা চিন্তা করেন। এর কারণ কি? আবরার আওয়ামীলীগ বা ছাত্রলীগকে দোষারোপ করে ফেসবুকে কোন স্ট্যাটাসই দেয়নি। তবে আবরার ভারতকে নিয়ে ফেসবুকে অনেক স্ট্যাটাস দিয়েছে, কাশ্মীরের নিপীড়িত মানুষকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে।

আবরারের উপর এত ক্ষোভ কাদের? এবং কেন?

আবরারের মামলা যে পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে চালানো হচ্ছে, তার নাম কৃষ্ঞপদ রায়!!

ঘটনা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে?

ঢাকার মেয়র আতিকুল , দূর্গাপূজায় ঢোল তবলা বাজাচ্ছেন।

বাংলাদেশের হাই কমিশনার কর্মকর্তা কলকাতায় দূর্গাপূজার অনুষ্ঠানে নাচানাচি করে মিডিয়ায় এসেছেন!

বাংলাদেশের নায়ক-নায়িকাদেরকে দূর্গাপূজায় বেশ এক্টিভ হতে দেখা যাচ্ছে, যেটা আর কয়েক বছর আগে সম্ভব ছিল না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষে বলছেন, জয় হিন্দ!! জয় হিন্দ!!

প্রতিটা সরকারি ইন্সটিটিউশনে দূর্গাপূজা, স্বরস্বতি পূজায় অংশগ্রহন করার জন্য প্রেসার ক্রিয়েট করা হচ্ছে। এখনও বাধ্য করা হয়নি যদিও।

ভেবে দেখুন একটু!

বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে, ২০ টি রাডার বসাচ্ছে অতি শীঘ্রই ভারত।

বাংলাদেশের গ্যাস ভারতে যাবে, এদিকে বাংলাদেশে গ্যাস নেই।

বাংলাদেশের সুন্দরবনের রামপালে ভারতের মাটিতে কাজ করতে ব্যর্থ হওয়া কোম্পানী কয়লা পুড়ায়।

বাংলাদেশ ভারতকে ল্যান্ড ট্রানজিট দিচ্ছে, নৌ ট্রানজিটও দিচ্ছে, যদিও ভারত বাংলাদেশকে নেপালে যাওয়ার ট্রানজিট দিচ্ছে না।

বাংলাদেশের নদী ফেনী থেকে ভারতকে পানি দেয়া হবে, কিন্তু ভারতের পদ্মা-তিস্তা থেকে কোন পানি বাংলাদেশকে দেয়া হবে না।