আজ বিশ্ব রক্তদান দিবস

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ১৪ ২০২০, ১২:৫৭

এবি হান্নান

আজ ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে যারা লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য।

কখনও ভেবে দেখেছেন কি, আপনার দান করা মাত্র ৩৩০মিলি রক্ত অর্থাৎ এক ব্যাগ রক্ত একজন মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে ।

স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদানকারী আড়ালে থাকা সেসব মানুষের উদ্দেশে, এসব অজানা বীরের উদ্দেশে, উৎসর্গীকৃত ১৪ জুনের বিশ্ব রক্তদান দিবস।

১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য এই ব্যাপারে বলা হয়ে আসছে।

স্বাভাবিক রক্তচাপ এবং সর্বনিম্ন ৪৫ কেজি ওজনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী একজন মানুষ প্রতি চার মাস পর পর রক্ত দান করতে পারেন । ৫০ কেজি ওজনের একজন পুরুষের শরীরে ১৩০০ মিলি লিটার এবং একজন মহিলার শরীরে ৮০০ মিলি লিটার রক্ত থাকে । এক ইউনিট বা এক ব্যাগ রক্তে থাকে মাত্র ৩৫০ থেকে ৪৫০ মিলি লিটার রক্ত।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতিবছর বিশ্বে ১০৭ কোটি ব্যাগ রক্ত সংগৃহীত হয়। এর মধ্যে ৩১ শতাংশ স্বেচ্ছা রক্তদাতা আর ৫৯ শতাংশ আত্মীয় রক্তদাতা। বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে শতভাগ স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহ করা হয়। উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছা রক্তদানের হার প্রতি এক হাজারে ৪০ জন আর উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি এক হাজারে ৪ জনেরও কম।

রক্তদানের উৎসাহিত

কার্ল ল্যান্ডসটেইনার ট্রান্সফিউশন মেডিসিনের জনক। তাঁর জন্মদিন হলো ১৪ জুন। ১৮৬৮ সালের ১৪ জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯০০ সালে মতান্তরে ১৯০১ সালে ব্লাড গ্রুপ সিস্টেম আবিষ্কার করেন। এর আগে রক্তদানের বিষয়টি মোটেও সহজ ছিল না। গ্রুপ নির্দিষ্ট ছিল না। উনি ১৯৩০ সালে এবিও ব্লাড গ্রুপ আবিষ্কারের জন্য নোবেল প্রাইজ পান। তাঁর জন্মদিনকে স্মরণ করে প্রতিবছর রক্তদাতা দিবস পালন করা হয়। এ দিনটিতে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করা হয়।

রক্তদানে নিজের ক্ষতি যেখানে হবে না, বরং কিছু লাভই হবে, আর অন্য একজন মানুষের জীবনও বাঁচবে, তাহলে আমরা স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসব না কেন? আমরা সমাজে একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। পারস্পরিক আদান-প্রদান আর সহায়তা সমাজবদ্ধ জীবনের অন্যতম পূর্বশর্ত। তা আমরা স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসবো এতে করে একটা হলে মানুষের জীবন বাঁচবে।