আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ০৮ ২০২০, ১৮:১৪

আজ মঙ্গলবার, পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরুর রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মজয়ন্তী আজ।

কবির ভাষায়, ‘আকাশভরা সূর্যতারা/বিশ্বভরা প্রাণ…’। সেই বিশ্বভরা প্রাণের উচ্ছ্বাসে গভীর শ্রদ্ধায় আজ বাঙালি স্মরণ করবে কবিগুরুকে তাঁরই লেখা গানে, কবিতায়, নাটকে…। নতুন চিন্তনে ও হৃদয়ের সুকুমার অনুভূতির প্রকাশে অনুভব করবে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা।

১২৬৮ বঙ্গাব্দের (১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ) পঁচিশে বৈশাখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর ও খুলনার দক্ষিণ ডিহি-পিঠাভোগে রয়েছে সরকারি আয়োজনে নানা অনুষ্ঠান। রাজধানীতে সরকারি উদ্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করবে। দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ নিবন্ধ। সরকারি-বেসরকারি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

বাঙালির বিস্ময়কর এ প্রতিভার সৃষ্টি বহুমাত্রিক। তাঁর রচনা বিপুল ও বিচিত্র। কবিতা, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, নাটক, ভ্রমণকাহিনি, সংগীত, শিশুসাহিত্য—নানা শাখায় তাঁর অবদান অতুলনীয়। চিত্রকলাকেও তিনি সমৃদ্ধ করে গেছেন। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদান যুগান্তকারী।

১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। তাঁর গান ‘আমার সোনার বাংলা’ আমাদের জাতীয় সংগীত। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর রচনা বাঙালিকে প্রেরণা জুগিয়েছে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালির চিন্তা-চেতনা ও মননের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছেন। তিনি বলেন, ‘বাঙালির সুখ-দুঃখ, আবেগ-ভালোবাসা, আশা-আকাঙ্ক্ষাসহ এমন কোনো অনুভূতি নেই যা রবীন্দ্রনাথ স্পর্শ করেননি।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ রচিত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ আমাদের জাতীয় সংগীত। এই গান জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতির স্মারক। যেকোনো দুর্যোগ-সংকটে ও আনন্দ-বেদনায় রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যসম্ভার শক্তি ও সাহস জোগায়। তাঁর সাহিত্যপাঠে আমরা আনন্দিত হই, আন্দোলিত হই।’

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির ব্যক্তি ও সমাজজীবনের উজ্জ্বল বাতিঘর। আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘জীবনের প্রতিটি সমস্যার-সংকট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে আন্দোলিত করে, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়। আমাদের চিন্তা, বোধ ও অনুভূতিতে তিনি (বিশ্বকবি) আমাদের হৃদয়ের কাছের মানুষ।’