আজ খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৮ ২০১৯, ০২:২২

আজ থেকে ৩০ বছর পূর্বে ১৯৮৯ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয় খেলাফত মজলিস। ঢাকাস্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে গণ মানুষের এই সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠাকালীন অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ.। আমীর ছিলেন, মুফাসসিরে কুরআন হযরত মাওলানা আব্দুল গাফফার রহ. ও মহাসচিব ছিলেন, ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাসউদ খান। মূলত খেলাফত আন্দোলনের বৃহৎ অংশ ও ইসলামী যুব শিবির বিলুপ্ত করে খেলাফত মজলিস নামে নতুন করে পথচলা। আত্ম প্রকাশের পর পরই নতুন ধারার এই গণ সংগঠন জনমনে ব্যাপক আশার সঞ্চার করে। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ৯২-সালের বাবরী মসজিদ আন্দোলন, ফারাক্কা ও বরাক বাঁধ বিরোধী সংগ্রাম, ৯৪ সালের নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ আন্দোলন, ৯৬ সালের পার্বত্য চুক্তি বিরোধী আন্দোলন, ৯৭ সালের মুর্তি বিরোধী আন্দোলন এবং ফতোয়া বিরোধী রায় প্রতিরোধ আন্দোলন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী চারদলীয় জোট গঠন ও জোট শক্তিকে বিজয়ী করা সহ দেশ ও ইসলামের পক্ষে সকল ন্যায্য দাবীতে রাজপথে সোচ্চার ভুমিকা পালন করছে খেলাফত মজলিস।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর, ঢাকাস্থ কাজী বশির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ পরিষদের দশম অধিবেশনে আবারো মিলিত হবেন সারা দেশের তৃণমূল প্রতিনিধিরা। দেশের সকল মহানগর, জেলা-উপজেলা নির্বাহী কমিটি ও ইউপি শাখা সমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদেরকে ঢাকা হয়েছে এই অধিবেশনে। অধিবেশন থেকে নতুন শপথে উজ্জীবিত হয়ে বাড়ী ফিরবেন ডেলিগটরা। সারা দেশের ঘরে ঘরে খিলাফাহ আলা মিনহাজিননুবুওয়াহ’র দাওয়াত পৌছে দেবেন তারা। লুটেরাদের তাডিয়ে দেশ রক্ষার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দীক্ষা নিয়ে ফিরবেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। এমনটাই আশা কেন্দ্রীয় সংগঠনের।