হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার আঞ্চলিক পত্রিকা সাপ্তাহিক আওয়ামী কন্ঠে হাজী মোহাম্মদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.মু.আবুল কাসেম এর বিরুদ্ধে ২৩/০৭/২০২০ইং তারিখে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক কেনার বরাদ্দের পুরো টাকা হজম করার অভিযোগ এনে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত ঐ বিজ্ঞপ্তিত উল্লেখ করা হয়, যে সংবাদটি পরিবেশিত হয়েছে তা সম্পুর্নরুপে মিথ্যা,বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।

প্রকাশিত সংবাদে হাবিপ্রবির ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারি ক্লিনিকের জন্য এম্বুলেন্স ক্রয়ে ১ কোটি টাকার অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে-যা অত্যন্ত আপত্তিকর ও বিভ্রান্তিকর। ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারি ক্লিনিকের এম্বুলেন্স কেনার জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল না এবং জাপানি গাড়ি কেনার কথাও ছিল না। বরাদ্দ ছিল ৯৪,৯৪,১০০ (চুরানব্বই লক্ষ চুরানব্বই হাজার একশত) টাকা। দরপত্রপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বায়োসায়েন্স (Bioscience) দরপত্রে উল্লেখিত স্পেসিফিকেশন অনুযায়ি উক্ত এম্বুলেন্সটি সরবরাহ করেছে। উল্লেখ্য, পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ি যে কোন যানবাহন ক্রয় করার সময় অরিজিন/কান্ট্রি বা ব্রান্ড উল্লেখ করার সুযোগ নাই। সম্প্রতি মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্তৃক প্রেরিত অডিট টিম কর্তৃক এম্বুলেন্স ক্রয় করাসহ অন্যান্য বিষয় নিরীক্ষিত হয়েছে এবং এ ব্যাপারে তাদের কোন আপত্তি নেই। দেশের মধ্যে কেবল হাবিপ্রবি এধরনের সুসজ্জিত ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করেছে। যার সুবিধাভোগী হল বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষক ও পশুখামারীবৃন্দ যা দেশের সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত উক্ত রিপোর্টে আপনি ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারি ক্লিনিকের এ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করার নামে টাকা হজম করার কথা উল্লেখ করেছেন এর স্বপক্ষে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আগামী সাত দিনের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারী বরাবর প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হল। সংবাদের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ দিতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবশ্যই সে অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অন্যদিকে তথ্য প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেশের প্রচলিত আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে। এ ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক করা হলো।

হাবিপ্রবিকে নিয়ে আপনার পত্রিকায় নিয়মিতভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এর আগেও কয়েকবার আপনার কাছে প্রতিবাদ পাঠানোসহ তথ্য উপাত্ত চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল কিন্তু তার কোন সদুত্তর আমরা পাইনি, যা দুঃখজনক ও সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা বর্জিত কাজ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও সুনাম রক্ষার্থে সকল প্রকার গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।