অবহেলিত ব্যক্তির জীবনের গল্প

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ২১ ২০১৯, ১৪:৩৬

ফারজানা ইসলাম নিশি

জন্মের পর থেকে যে ব্যক্তিটি অবহেলার স্বীকার।সমাজ, পরিবারের মানুষজন তাকে অবহেলা করে।তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা বিদ্রুপ করে। তার নিশ্চয়ই বাঁচতে ইচ্ছা করবে না। সৃষ্টিকর্তার কাছে বার বার সে মৃত্যুর দাবি করবে। কখনো আবার, পৃথিবীকে বলবে পৃথিবী তুমি আমাকে বিদায় দাও।কখনো আবার আত্নহত্যার পথ বেঁচে নিতে চাই সে।সমাজে বার বার সে ব্যক্তিটি হোঁচট খায়,এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায় না সামনের দিকে।ভিষন্নতা তাকে দারুনভাবে গ্রাস করে, হতাশা তাকে চারদিকে তাড়া করে।সমাজে,পরিবারে অবহেলার স্বিকৃতী পাওয়া সেই ব্যক্তিটি কখনো আবার গহীনের অন্ধকারে চিৎকার করে কাঁদে। নিস্তব্ধ রাত সে ব্যক্তিটি একাকী বসে প্রহর গুনে মৃত্যুর অপেক্ষায়।মৃত্যু আর তার কাছে এসে ধরা দেয়না,আর্তনাদের কান্না ও কেউ শুনতে পায় না।এভাবে চলতে চলতে শুরু হয়ে যায় অবহেলিত জীবনের কিছু মানুষের গল্প।

আর সাথে সাথে নিভে যায় জীবনের প্রদীপ। হতাশা,অবহেলা,সমাজ থেকে তিরস্কার পাওয়া ব্যক্তিটি একসময় মাথা নিঁচু করতে বাধ্য হয়। অবহেলিত ব্যক্তিটি জীবনের গতিতে আর সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায় না।সব কাজে ভয় পায়।
তখন হয়তো অবহেলিত ব্যক্তিটি মৃত্যুই দাবি করে।  বার বার চিৎকার করে বলে, সৃষ্টিকর্তা তুমি আমাকে পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নাও।করুণ অবস্হায় অবহেলিত ব্যক্তিটি নিজেকে সমাজে,পরিবারে বোঝা মনে করে।সোসাইট করতে চাওয়া সেই ব্যক্তিটি একসময় জীবন যুদ্ধে ও হেরে গিয়ে প্রত্যাশা করে মৃত্যু আর মৃত্যু।কিনতু মৃত্যুও তাকে আর ধরা দেয় না।
গল্পটি এখানেই শেষ নয়।

সমাজের কাছে শুধু একটা প্রশ্ন আপনারা কেনো ব্যক্তিটাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করেন?কিসের এত অহংকার আপনাদের?পারেন না তাকে সমাজে সুন্দর আসনে স্হান দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে? লজ্জা কি লজ্জা?

সমাজের কি দুর্নাম,কি ব্যর্থতা।সাহস থাকলে তাকে সাহায্যে করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিন তাতে সমাজের ও সুনাম হবে আবার অবহেলিত ব্যক্তিটিও বেঁচে গিয়ে সুন্দরভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে। মৃত্যুর জন্য আর চিৎকার করতে হবে না।

একজন মানুষ যেমনেই হোক না কেনো সবসময় সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে চাইবে সে। মরণ আসার আগে কেউ কি ইচ্ছা করে মরে যেতে চাই? চাই না তো। তাহলে কেন একজন ব্যক্তিকে মৃত্যুর পথে এগিয়ে দিতে চান? সে ও তো আরো দশজন মানুষের মতো সুন্দর ভাবে সমাজে বাঁচতে চাই।এটা তার অধিকার বটে।

সমাজকে বলি, পরিবারকে ও বলি, কখনো সমাজের,পরিবারের একজন ব্যক্তিকে অবহেলা করবেন না, তাতে আপনাদের ক্ষতি না হলে তার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।তাকে উৎসাহ দিন সকল কাজে।সকল দিক দিয়ে তাকে সাহায্য ও করুন,তাকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তি এবং বুদ্ধি সঞ্চার করে দেন,পথ দেখিয়ে দেন সুন্দর ও আগামী জীবন প্রত্যাশার।মৃত্যেুর পথে ঠেলে দিয়ে নয়।
তাতে সমাজ ও সুন্দর হবে সমাজে প্রতিটি ব্যক্তির অবস্হান ও সুন্দর হবে।