মাদানী চত্বর উদ্বোধন ; মেয়র আরিফের প্রতি আরেকটি আবেদন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ১৭ ২০১৯, ১৯:৩৬

মাওলানা জুনাইদ ক্বিয়ামপুরী: মাননীয় মেয়র জনাব আরিফুল হক চৌধুরী তাঁর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, কর্মচঞ্চল মনোবৃত্তি, ধর্মীয় উজ্জীবনমূলক চিন্তাধারার কারণে ইতোমধ্যেই সিলেটবাসীকে একটি আধুনিক আলোকিত নগরীর স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। সিলেট নয়াসড়ক মসজিদের পাশে চৌরাস্তার মধ্যখানে ‘ মাদানী চত্বর’ নির্মাণ করে তাঁর আধ্যাত্মিকবোধ ও পরিচ্ছন্ন মননের পরিচয় দিয়েছেন। আল্লাহর ওলিদের প্রতি যারা নিখাদ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখান, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকেও সমাজে শ্রদ্ধিত ও সমাদ্রিত করেন। “মাদানী চত্বরের” ইতিকথায় আরিফুল হক্ব চৌধুরীর নামও শায়খুল ইসলাম মাদানী রহ.এঁর নামের সঙ্গে অক্ষয় হয়ে থাকবে।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ঈ. রোজ রবিবার সন্ধ্যায় মাদানীপুত্র সায়্যিদ আসজাদ মাদানী দা.বা. এর মাধ্যমে এই নান্দনিক কর্মের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
মাননীয় মেয়রের কাছে আমাদের আরেকটি আবেদন, এই সিলেটবাসীর প্রতি মাদানী রহ. এর অবদান অপরিসীম। তেমনি আরও একজন বুজুর্গ হজরত সহুল উসমানী রহ.। যিনি আধ্যাত্মিকতায় হজরত রশিদ আহমদ গাংগুহী রহ. এঁর খলিফা ছিলেন।
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন হাদিসের দারস দিয়েছেন। ঈমানের অত্যুজ্জ্বল রোশনীতে আলোকিত করেছেন অজস্র হৃদয়। আমাদের দরগাহ মসজিদের ইমাম, আরিফ বিল্লাহ আকবর আলী রহ,সহ অজস্র আলিমের উস্তাদ হজরত মাওলানা সহুল উছমানী রহ.কেও এই প্রজন্মের অনেকে চিনে না। তাঁকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যে চৌহাট্রায় তাঁর নামে’ সহুল চত্বর’ বা ‘উসমানী চত্বর ‘ নির্মাণ করলে আরও একটি ঐতিহাসিক কাজ হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

গুনীজন যে দলেরই হোন,সর্বদাই সম্মানীয়। মরহুম
সামাদ আজাদ সাহেব, স্পিকার হুমায়ুন রশিদ সাহেব, এম সাইফুর রাহমান সাহেব, তারা যেমন দেশের সম্পদ ছিলেন,ছিলেন গুনীজন। তাই তাঁদের নামে চত্বর করা হয়েছে। অনেক ভবন-সড়কের নামকরণ করা
হয়েছে । এটা প্রশংসনীয় ।
কিন্তু ইসলামি ব্যক্তিত্ব আল্লামা বায়মপুরী, শায়খে কৌড়িয়া, আরিফ বিল্লাহ আকবর আলী, আল্লামা গহরপুরী, শায়খে কাতিয়া, শায়খে গাজিনগরী-প্রিন্সিপাল হাবিবুর রাহমান রাহিমাহুমুল্লাহ- তারাও তো আমাদের সম্পদ ছিলেন,তারাও আমাদের গুনীজন ছিলেন। তাঁদের নামে এরকম কোনো ভবন-সড়কের নাম নেই। বিষয়টা দু:খজনক।
সৌদিতে সড়ক মহা-সড়কের নাম ইসলামি ব্যক্তিত্বদের নামে আছে। তুরস্কেও আছে। অথচ আমাদের দেশে নেই। অন্তত সিলেট শহরে যদি এই বিষয়টার প্রতি লক্ষ রেখে সড়ক- মহাসড়কের নামকরণ বুযুর্গদের নামে করা হয়; তবে সিলেট আধ্যাত্মিক নগরী হিসেবে আরেকটু আবেদনময় হয়ে ওঠবে বলে আমার বিশ্বাস।

লেখক: উস্তাদ, জামেয়া দরগাহ সিলেট।