ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে সীমান্তে গরু জবাই করে জেয়াফত

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ১০ ২০২৫, ১৩:০২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘গরু জবাই’ করে জেয়াফত ও লংমার্চের মধ্যদিয়ে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার পাইলিংমোড় এলাকায় একটি ‘গরু জবাই’ করার মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

আনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানিয়েছেন, সীমান্তে হত্যা ও ফারাক্কার পানির নায্য হিস্যার দাবিতে শনিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে লংমার্চ শুরু হয়। রবিবার সকালে শিবগঞ্জের মডেল হাইস্কুল মাঠে ৬টি যাত্রীবাহী বাস প্রবেশ করে। এসব বাসে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ অংশ নেন।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভটি পাইলিংমোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি ‘গরু জবাইয়ে’র মাধ্যমে লংমার্চের অর্ধেকশ কর্মসূচি শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জনগণ সংগঠনের মুখপাত্র আবু মোস্তাফিজ, আমজনতার নেতা মাসুদ জাকারিয়া, শহিদুল হক মিন্টু, তারেক রহমান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান, হেফাজতের রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক নাইমুল হাসান ও হেফাজতের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ ইসহাকসহ অন্যরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গরু জবাই করে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ

আমজনতার সংগঠনটির সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জবাসী বিএসএফের মুখোমুখী হয়ে প্রতিবাদ করেছে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। তাদের এই সাহসে আমরা অনুপ্রেরণা হয়ে তাদের সাধুবাদ জানাতে এসেছি। আমারও তাদের থেকে শিক্ষা নিতে এখানে লংমার্চে এসেছি। ভারত গরু রাজনীতির মধ্যদিয়ে মুসলিমদের নিপিড়ন করে। গরু খাওয়ার অপরাধে মুসলিমকে মারধর করে। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের এই জিয়াফত। এই জিয়াফত একটি ঐতিহ্যবাহী একটি সংস্কৃতি।”

তিনি আরো বলেন, “গরু জবাইয়ের মাধ্যমে লংমার্চের আংশিক কর্মসূচি শেষ করা হয়। পরে এদিন সন্ধ্যায় সীমান্তে বিএসফের বুরেটে নিহতদের নাম সম্বলিত ফানুস উড়ানো হবে। এসব ফানুস ভারতীয় ভূখণ্ডে পড়বে। তখন তারা জানতে পারবে আমাদের এই ভারতীয় আগ্রাসের প্রতিবাদ।”