নাগরিক আলেম সমাজের ভালোবাসায় মুগ্ধ শিক্ষার্থীরা
একুশে জার্নাল ডটকম
আগস্ট ০৮ ২০২৪, ২০:০৩
আকাশে তখন ঝকঝকে রোদ। ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের দল। সড়কে কোথাও ছায়া, কোথাও সূর্যের প্রখর তেজ। এমন অবস্থায় নগরের ট্রাফিকব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে রাষ্ট্রসংস্কারের লড়াইয়ে বিজয়ী কোমালমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের অভূতপূর্ব ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশবিহীন নগরে সুশৃঙ্খলভাবে চলছে যানবাহন। এইসব দৃশ্য কুড়াচ্ছে সবার ভালোবাসা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সিলেটে তাদের জন্য ভালোবাসার সেই ঢালি নিয়ে যায় নাগরিক আলেমসমাজ। নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বপালন করা শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয় লাঞ্চ প্যাকেট ও পানি। স্মিত ও মুগ্ধ হাসিতে সেগুলো গ্রহণ করেন তারা।
সিলেট নগরের পেপার পয়েন্ট (কমির উল্লাহ মার্কেটের সামন) থেকে বেলা ২টায় শুরু হয় নাগরিক আলেম সমাজের উদ্যোগে প্যাকেট বিতরণ কার্যক্রম। সিটি পয়েন্ট, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা হয়ে আম্বরখানায় শেষ হয় কর্মসূচি। ছয়টি পয়েন্টে দায়িত্বরত শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয় প্যাকেট।
বিতরণের শুরুতে ছিলো রোদের তেজ, জিন্দাবাজার পৌঁছার আগেই আকাশ ভেঙে নামে শ্রাবণধারা। বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে নগর। এই অবস্থায়ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনে অবিচল ছিলেন শিক্ষার্থীরা। দুয়েকজনের হাতে ছিলো ছাতা, বাকিরা ভিজে নগরের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছিলেন। এমন অবস্থায় নাগরিক আলেম সমাজের দায়িত্বশীলরাও বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে দেন লাঞ্চ প্যাকেট।
নাগরিক আলেম সমাজের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক নোমান বিন আরমানের নেতৃত্বে এ কার্যক্রমে অংশ নেন কণ্ঠশিল্পী আহমদ আব্দুল্লাহ, সমন্বয়ক মাওলানা হাসান ফয়েজ, লেখক হক নাওয়াজ, আদিব আহমদ, লেখক হুসাইন ফাহিম, মাওলানা সাদিকুর রহমান, মাওলানা মিনহাজুস সিরাজ, মাওলানা আমজাদুস সামাদ উজ্জ্বলসহ অন্যরা। কার্যক্রমে কণ্ঠশিল্পী আহমদ আহমদ আব্দুল্লাহকে পেয়ে উচ্ছ¡সিত হন শিক্ষার্থীরা। তারা তাকে ঘিরে জড়ো হন, ছবি তুলেন।
নগরের শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বপ্রণোদিত এইসব শিক্ষার্থী আগামীতে বৈষম্যহীন, ন্যায়নিষ্ঠ, সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনেও অবদান রাখবে বলে আশা নাগরিক আলেম সমাজের।